প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন বিপ্লবী নায়ক। কাঁপন ধরিয়ে ছিলেন ব্রিটিশ শাসকের বুকে। জীবনের দ্বিতীয় পর্বে সেই তিনিই হয়ে উঠলেন যোগী ও দার্শনিক। আধ্যাত্মিকতার আলো জ্বেলে দিলেন অসংখ্য মানুষের প্রাণে। প্রথম জীবনের দুর্ধর্ষ বিপ্লবী অরিবিন্দ ঘোষ (Aurobindo Ghosh), পরে তিনিই ঋষি অরবিন্দ। ১৫ আগস্ট (15 August), ভারতের স্বাধীনতা দিবস তাঁরও জন্মতারিখ।
বিংশ শতকের শুরুতেই বিপ্লবী নেতা অরবিন্দ ঘোষের নেতৃত্বে বাংলা সহ ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ওঠে বিপ্লববাদের ঢেউ। অবশেষে গ্রেফতার হন তিনি এবং তাঁর সহযোদ্ধারা। শুরু হয় বিখ্যাত আলিপুর বোমার মামলা। বিচারে প্রমাণাভাবে মুক্তি পান অরবিন্দ।
জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর তিনি যেন এক অন্য মানুষ! ঋষি শ্রীঅরবিন্দ। রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে চলে যান সুদূর পণ্ডিচেরিতে। গোটা বিশ্বের সামনে আর্বিভূত হন এক মহান ভারতীয় যোগী ও দার্শনিক। । ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় শ্রীঅরবিন্দ আশ্রম।১৯৫০ সালের ৫ ডিসেম্বর ৭৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন ঋষি শ্রীঅরবিন্দ। ভারতের স্বাধীনতার বয়স তখন আড়াই বছর।