ক্যানিংয়ে (Canning) পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি সহ ৩ তৃণমূল নেতাকে গুলি করে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় ২ মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। পরিবারের তরফে করা এফআইআরে নাম রয়েছে মূল অভিযুক্ত সহ মোট ৬ জনের। ইতিমধ্যেই তাদের ৪ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই অধিকাংশ বাসিন্দা আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পাশাপাশি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন ক্যানিং পূর্ব ও পশ্চিমের বিধায়ক সওকত মোল্লা এবং পরেশরাম দাস।
শুক্রবারই এলাকায় যায় সিআইডি টিম। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি তাঁরা কথা বলেন এলাকাবাসীর সঙ্গেও। তারপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকায়। বৃহস্পতিবারই স্বপন মাঝির পরিবারের তরফে এফআইআর করা হয়। সেখানে নাম রয়েছে রফিকুল সর্দার, জালালউদ্দিন আকন্দ, বসির শেখ, এরাইদুল্লা মণ্ডল ও আলি হোসেন নস্করের। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত রফিকুলের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দেড় বছর আগে বাদল নস্কর নামে এক তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছিলেন ওই ভাড়াটে গুন্ডা। ওই হামলার ঘটনা চোখের সামনে ঘটতে দেখেছিলেন গোপালপুরের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন। সেই থেকেই ভাড়াটে গুন্ডার সঙ্গে স্বপনের শত্রুতার সূত্রপাত। দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তৃণমূল নেতা। স্বপনের কারণেই ওই দুষ্কৃতী গ্রামে ঢুকতে পারছিলেন না। সেই রাগ থেকে পঞ্চায়েত সদস্যকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করছেন পড়শিরা।