বয়স মাত্র তিন বছর। হাতে খড়িও হয়নি এখনও। স্কুলে ভর্তি হতেও দেরি আছে কয়েক বছর। এখনও পরিষ্কার করে কথা বলতেও শেখেনি। কিন্তু এখন থেকেই পড়াশোনায় আগ্রহ ছোট্ট কাব্যর। খেলার ছলে মোবাইল দেখতে দেখতে সে এলফাবেট, পশু-পাখির নাম, ছড়া, সবই শিখে ফেলেছে।
এই বয়সে বাচ্চারা যেখানে দুষ্টুমি করে, সেখানে কাভ্যয়ার সঙ্গী বই, খাতা, পেন। হাতে কলম নিয়ে ছবি এঁকে ফেলে সে। আশ্চর্য তার এই ক্ষমতা দেখে তাজ্জব তার মা-বাবা ও। তাঁরা মনে করছেন এটা তাঁদের মেয়ের গড গিফটেড ট্যালেন্ট। শুধু বাবা-মা নয়। ছোট্ট কাব্যর এই প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড ও।
হুগলির কোন্নগরে বাসিন্দা ধীরাজ কুমার ও দীপিকা কুমারের একমাত্র মেয়ে কাব্যর। বাবা ধিরাজ কুমার ভারতীয় সেনায় রয়েছেন। তাঁর পোস্টিং সুদূর জম্মুতে। মা দীপিকা বাড়ির সমস্ত কাজে ব্যস্ত থাকেন। আর ছোট্ট মেয়ে কাব্য সারাদিন ব্যস্ত থাকে পড়াশোনা করতে। মেয়ের এই গুণ দেখে তাঁর মা মাস ছয়েক আগে অ্যাপ্লাই করেছিলেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এর জন্য। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তাঁদের বাড়িতে এসে পৌঁছায় ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডের শাংসাপত্র। কাব্যর মা জানান, মেয়ে ছোট থেকে মোবাইল দেখে নিজে নিজে এসব শিখেছে। তাঁরা চান পড়াশোনাকে ভালোবেসে আরও এগিয়ে যাক কাব্যর।