ঝাড়খণ্ডের বিধায়ক কেনাবেচা কাণ্ডে এবার বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল। ৩০ জুলাই প্রথমবার টাকা হাতবদল হয়নি। তার আগেও একবার টাকা হাতবদল হয়েছে বলে অভিযোগ। ২১ জুলাই কলকাতা আসেন ইরফান ও রাজেশ কাচ্চপ নামে দুই শেয়ার ব্যবসায়ী। সেদিন ৭৫ লক্ষ টাকা কংগ্রেস বিধায়কদের হাতে দেন তিনি। গুয়াহাটিতে তার আগের দিন এক শীর্ষ বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন দুই বিধায়ক। অভিযোগ, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। গত শনিবার, লালবাজারের বিকানের বিল্ডিংয়ে মহেন্দ্র আগরওয়ালের অফিসে টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অনুমান। তাকে ফের তলব করেছে সিআইডি।
গত শনিবার হাওড়ার পাঁচলায় -কংগ্রেস বিধায়ক, 'ঝাড়খণ্ড'- লেখা বোর্ড লাগানো গাড়ি থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। বিপুল টাকা সহ গ্রেফতার হন ৩ কংগ্রেস বিধায়ক। ওই ৪৯ লাখ টাকা ৩ বিধায়কের কাছে কীভাবে এল। ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের এক বিধায়কের অভিযোগ, সরকার ভাঙার জন্যই ওই টাকার লেনদেন করা হচ্ছিল। তাঁকে ১০ কোটি টাকার টোপ দেওয়া হয়েছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার লালবাজারের বিকানের বিল্ডিংয়ের অফিসে তল্লাশি চালায় সিআইডি। সিআইডির অনুমান, ব্যবসায়ীর সঙ্গে হাওয়ালা যোগ রয়েছে। তল্লাশি করে ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে কমপক্ষে ২৫০টি রুপোর কয়েনও উদ্ধার হয়। এই অফিসেই এত অর্থের হাতবদল হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের একটু দূরেই অগ্ন্যুৎপাত, ভাইরাল হল আইসল্যান্ডের ভিডিও
ধৃত তিন বিধায়ককে জেরা করে উঠে আসে সিদ্ধার্থ মজুমদারের নাম। বুধবার সিদ্ধার্থ মজুমদারের দিল্লির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে বাধার মুখে পড়েন সিআইডি অফিসাররা। তল্লাশির এক্তিয়ার নিয়ে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সংঘাত বাধে দিল্লি পুলিশের। বুধবারই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ধৃত তিন কংগ্রেস বিধায়ক।