নামে কী এসে যায়। তার গর্জনই শেষ কথা। জঙ্গলমহল এখন ত্রস্ত তার বিচরণে। গত ১২ ডিসেম্বর থেকে এই অঞ্চলে সে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কখনও ঝাড়গ্রাম, কখনও পুরুলিয়ায় তার অবস্থান। ফাঁদ পেতেও কিছু করতে পারছে না বন দফতর। শাল, পিয়ালের গভীর জঙ্গলে অনয়াসে বনকর্মীদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে বেড়াচ্ছে ওড়িশার সিমলিপাল থেকে আসা বাঘিনী।
তা কী ভাবে বাংলার জঙ্গলে চলে এল এই বাঘিনী ?
জানা গিয়েছে, ওড়িশার সিমলিপাল থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে এ রাজ্যে এসেছে সে। মূলত সুর্বণরেখা বরাবর অঞ্চলে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে গর্ভবতী এই বাঘিনীকে। দেখা গিয়েছে জাতীয় সড়ক আর রেলপথের উপরেও। রবিবার থেকে আবার গতিপথ বদলে ফেলেছে এই বাঘিনী। পাহাড় টপকে হাজির হয়েছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে।
রাইকা পাহাড়। যা আড়াআড়ি ভাগ করেছে বাংলার জঙ্গলমহলের দুই জেলা ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়াকে। বন দফতরের দাবি, রাইকা পাহাড় লাগোয়া কোনও একটি জায়গায়তেই রয়েছে এই বাঘিনী। তবে, সেই জায়গা কোথায়, তা এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি।
তার গলায় কলার ক্যামেরা আছে না নেই, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে বন দফতর জানিয়েছে, বান্দোয়ানের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে চিরুডির জঙ্গল। ওই জঙ্গলের মধ্যে শেষবার দেখা গিয়েছিল ওই বাঘিনীকে। সেই কারণে তার জন্য রাখা হয়েছিল টোপ। সেই টোপ কিন্তু গেলেনি সে।
তবে জঙ্গলমহলের মানুষের কাছে বাঘ নতুন নয়। আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে বাঘবন্দির খেলা দেখেছিলেন এই অঞ্চলের মানুষ। সেও এসেছিল ওড়িশা থেকে। তারপর প্রায় ২০ দিন দাপিয়ে বেড়িয়েছিল ওই অঞ্চল।
কিন্তু এবার এই বাঘিনীর কী হবে ?
নির্দিষ্ট করে এখনও কিছু জানায়নি বন দফতর। শুধু নজর রাখা হচ্ছে তার গতিপথের উপরে। খোঁজা হচ্ছে পায়ের ছাপ। বন দফতরের খবর অনুযায়ী, ঝাড়গ্রাম নয়, এখনও বাঘিনীর অবস্থান বান্দোয়ানের চিরুডির জঙ্গলে।