সুন্দর, ছিমছাম বাংলোর মতো একটি বাড়ি রয়েছে শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙায়। বাড়ির সামনের নাম ফলকে বড় বড় করে লেখা 'অপা'। এলাকাবাসীর কথায়, এটাই নাকি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। তাঁদের দাবি, মন্ত্রীর আসা যাওয়াও নাকি ছিল সন্ধ্যার পরে। আবার সকাল হওয়ার আগেই চলে যেতেন তিনি। শনিবার দিনভর চর্চায় শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙা, প্রান্তিক, সোনাঝুরি, অ্যান্ড্রুজ পল্লি এলাকায় সাতটি সুদৃশ্য বাড়ি। যে বাড়িগুলিতে পার্থর যাতায়াত ছিল বলেই স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে। যদিও সেই বাড়িগুলি মন্ত্রীরই কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের দাবি, ওই বাড়িগুলি দেখভাল করতেন এক মহিলা, যিনি পেশায় অধ্যাপিকা। এখানে যাতায়াত ছিল তাঁরও। ইডি সূত্রে দাবি, ওই অধ্যাপিকা আর কেউ নন, স্বয়ং মোনালিসা দাস।
ওই সাত বাড়ির একটি বাড়ির কেয়ারটেকার বললেন, ‘‘আমরা তো বেতনভুক কর্মচারী। বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে, পার্থবাবু মাঝেমধ্যেই আসতেন। এখানকার বাড়িগুলিতে রাত কাটিয়ে ফিরে যেতেন কলকাতা।’’ শান্তিনিকেতনে হামেশাই যে যাতায়াত ছিল তৃণমূলের মহাসচিবের, তা অবশ্য ওই বাড়িগুলি যে এলাকায়, সেখানকার বাসিন্দারাও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- Partha Chatterjee: ইডি ১৪ দিন চাইলেও কেন পার্থকে মাত্র ২ দিনের হেফাজতে পাঠাল আদালত
প্রতিবেশীদের একাংশের মতে, ‘‘পার্থবাবু মাঝেমধ্যেই আসতেন এই বাড়িগুলিতে। তবে বেশিরভাগ সময়ই তিনি রাতে এসে সকালে ফিরে যেতেন। প্রচুর পুলিশি নিরাপত্তা ও গাড়ি দেখে আমরা আঁচ করতে পারতাম উনি এসেছেন।’’ তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, অর্পিতাও শান্তিনিকেতন ও জামবুনির বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন।