রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তাঁর জেলা ঝাড়গ্রামেই এবার এক গর্ভবতী হাতিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ রাজ্যের বন দফতরের হুলা পার্টির বিরুদ্ধে। গত ১৫ অগাস্টের এই ঘটনায় প্রথমে আহত অবস্থায় ওই হাতিকে জেলার মিনি চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গায়ে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ওই হাতির গায়ে জোর করে লোহার গরম রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তাতে আহত হয় ওই গর্ভবতী। যদিও এই ঘটনায় তাদের হুলা পার্টির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বন দফতর। দাবি করা হয়েছে, হুলার মধ্যে ঢুকে কোনও বহিরাগত এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই যুবককে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। দায়ের করা হয়েছে এফআইআরও। কিন্তু এখনও এই ঘটনায় গ্রেফতারি নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ অগাস্ট ঝাড়গ্রামে রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বাড়ির সামনে চলে আসে চারটি হাতি। এরমধ্যে দুটি শাবক। মন্ত্রীর বাড়ির থেকে খানিক দূরে হাতির হানায় মারা যায় একজন। এরপরেই ওই চার হাতিকে জঙ্গলে ফেরাতে মরিয়া চেষ্টা করে বন দফতর। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে আটকে যায় হাতির রাস্তা।
এরমধ্যে গর্ভবতী ওই হাতি ঢুকে পড়ে ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের মধ্যে। কোনও রকমে তাকে ওখান থেকে বার করা হয়। এরপরেই তার উপর হামলা হয় বলে দাবি গ্রামবাসীদের। অভিযোগ, যোগ্য ব্যক্তিদের বাইরে রেখে স্রেফ টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের নিয়ে হুলা পার্টি তৈরি করছে রাজ্যের বন দফতর। তার জেরেই ঝাড়গ্রামে এই ঘটনা ঘটল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এই ঘটনায় বাকি তিনটি হাতিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফিরে যাওয়ার আগে আরও এক গ্রামবাসীকে পিষে দিয়ে তারা ফিরেছে বলে জানা গিয়েছে। তামিলনাড়ুতে আনারসের ভিতরে পটকা ভরে খাওয়ানো হয়েছিল হাতিকে। মুখ ও পেটের ভিতরে বিস্ফোরণ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল গর্ভবতী হাতির। ওই ঘটনায় গোটা দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। ঝাড়গ্রামের এই ঘটনা, সেই তালিকার নতুন সংযোজন হল।