বিকিনি পরে ইনস্টাগ্রামে (Instagram) ছবি দিয়েছিলেন তিনি, আর সেই 'অপরাধ'-এ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল তাঁকে! সম্প্রতি এমনই অভিযোগ আনলেন সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (St. Xavier's University) এক প্রাক্তন অধ্যাপিকা (Former professor)। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। তাঁর চাঞ্চল্যকর দাবি, এক ছাত্রের অভিভাবক কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ জানান, তাঁদের ছেলে শিক্ষিকার বিকিনি পরা ছবি দেখছে, আর সেই নালিশের পরিপ্রেক্ষিতেই নাকি চাকরি খোয়া যায় শিক্ষিকার! যে অভিযোগপত্রে লেখা ছিল, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্তর্বাস পরে অধ্যাপিকার ছবি পোস্ট করা দৃষ্টিকটু ও অশালীন।' ওই পড়ুয়ার অভিভাবকের নাম বিকে মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগপত্রটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের অক্টোবর মাসে। সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে (St. Xavier's University) গত বছরের অগস্ট মাসে চাকরিতে সদ্য কাজে যোগ দেওয়া এক অধ্যাপিকা তাঁর ইনস্টাগ্রাম (Instagram) প্রোফাইলে বিকিনি পরা একটি ছবি পোস্ট করেন। তিনি একটি ফোটোশুটে অংশ নেওয়ার ছবি ব্যক্তিগত পরিসরে কাছের বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই ছবি ঘিরেই তৈরি হয় বিতর্ক। প্রথমে সেই ছবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও পরে তার অভিভাবকরা দেখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তাঁরা জমা দেন লিখিত অভিযোগ।
আরও পড়ুন: আজ দুপুর ২ টোয় শপথ নেবেন বিহারের নয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ,জানাল RJD
তারপরেই ওই অধ্যাপিকাকে তলব করে বিশ্ববিদ্যালয় (St. Xavier's University) কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট অভিযোগপত্রের সঙ্গে তাঁর ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। উত্তরে ওই অধ্যাপিকা জানান, তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট (Private account) করা রয়েছে ফলে যে কেউ ইচ্ছা করলেই তাঁর ছবি দেখতে পারেন না। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিকিনি (Bikini) পরা ছবিগুলি তিনি স্টোরিতে দিয়েছিলেন, যা ২৪ ঘণ্টা পরে নিজে থেকেই ডিলিট হয়ে যায়। ফলে প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া কী করে ছবিগুলি দেখতে পেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
যদিও ওই প্রাক্তন অধ্যাপিকার সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় (St. Xavier's University)। ওই অধ্যাপিকা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে দাবি করা হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।