আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে। ভোট-গণনা হবে ২১ জুলাই। শাসক তৃণমূলের সাংসদ ও বিধায়ক মিলে মোট ভোটার ২৫৪।
বিরোধী দল বিজেপির হাতে রয়েছে ৭০ জন বিধায়ক এবং কার্যত ১৬ জন সাংসদ। তারা আবার এক ধাপ এগিয়ে রবিবার সন্ধ্যার মধ্যেই দলের সব বিধায়ককে নিউটাউনের হোটেলে পৌঁছে যেতে বলেছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে ঘিরে হোটেলে শিবির করে থাকার এমন বন্দোবস্ত এ রাজ্যে বিরল। সকালেই নিউটাউনের হোটেল থেকে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভার উদ্দেশে রওনা দেয় বাস।
আরও পড়ুন- Parliament Monsoon Session 2022: আজ থেকে শুরু সংসদের বাদল অধিবেশন, পাশ হতে পারে নতুন ২৪টি বিল
তবে এ বারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাংলায় নজর অনেকটাই থাকবে ‘দলবদলু’দের দিকে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট যে হেতু গোপন ব্যালটে হয়, কে কাকে ভোট দিলেন— জানার উপায় নেই। হাতে-থাকা মোট ভোটের মূল্য এবং গণনার পরে প্রাপ্ত ভোট মিলিয়ে দেখে বোঝা যেতে পারে, কোন শিবিরের কত জন তাঁদের নির্দিষ্ট প্রার্থীকে ভোট দেননি। তৃণমূল তাদের সাংসদদের কলকাতায় ভোট দিতে বললেও এই ‘সংশয়ে’র জায়গাই বজায় রেখেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী। আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেও ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ খাতায়-কলমে এখনও গেরুয়া শিবিরের! তিনি কী করবেন, সে দিকেও নজর থাকবে।
বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত পাঁচ বিধায়ক পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দেন। বিধানসভার খাতায় তাঁরা এখনও বিজেপির সদস্য হলেও গেরুয়া শিবির তাঁদের হিসেবের বাইরেই রেখেছে। বিজেপির বরং পাল্টা দাবি, এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী যে হেতু জনজাতি অংশের প্রতিনিধি, তাই তৃণমূলের অনেকেই তাঁকে ভোট দেবেন। যে দাবি উড়িয়ে তৃণমূলের নেতৃত্ব বলছেন, তাঁদের ভোট অক্ষতই থাকবে। অন্যদিকে, আইএসএফ বিধায়ক নওসাদউদ্দিন সিদ্দিকী ভোট-দানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।