আরও এক মৃত্যু, স্বামী হারালেন সদ্য একবছরের বিবাহিতা স্ত্রী। সন্তান হারালেন এক বাবা-মা। ঘটনাস্থল আরজিকর। অভিযোগ, যুবকের অবস্থা সঙ্কটজনক শুনেও ডাক্তার বা নার্স কেউ আসেননি চিকিৎসা করতে। নূন্যতম চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়েছে নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা নন্দ বিশ্বাসের। মৃতের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছিল।
২৪ বছর বয়সি ওই যুবককে তিন দিনের জ্বর নিয়ে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর চিকিৎসা পেয়েছিলেন ওই যুবক।পরিবারের তরফে অভিযোগ, প্রথমে পরিষেবা পেলেও মঙ্গলবার থেকে কার্যত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। কোনও নার্স বা ডাক্তার আসেননি। দেওয়া হয়নি ন্যূনতম স্যালাইনও। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যুবকের অবস্থার অবনতি হতে থেকে। ওই দিনেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পরিবারের তরফে আরও জানাও হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে আরজিকর হাসপাতালে কোনও ডাক্তার আসেননি। তাঁদের রোগীকে নিয়ে বড় নার্সিংহোমে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল আরজি কর থেকে। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় তাঁরা নার্সিং হোমে নিয়ে যেতে পারেননি। ইতিমধ্যেই পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর থেকে উদ্ধার হয় চিকিৎসকের দেহ। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারেরা। এক মাসের বেশি সময় ধরে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু তাও বারবার পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার আরজিকরেরে বিচারের মধ্যে এই মৃত্যুরও বিচার চাইছেন পরিবার।