ছিল বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ। হয়ে গেল কার্যত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আখড়া। বৃহস্পতিবার এই ছবিই ধরা পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে। শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি। মঞ্চের নিচে নেমে বিক্ষোভ সামলাতে হিমসিম খেতে হল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং চণ্ডীপুরের বিধায়ক সোহমকে। এমনকী মঞ্চের নিচে এসে ক্ষোভ সামাল দেন রাজ্য়ের কারামন্ত্রী অখিল গিরিও। এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা ও নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক কী হয়েছিল বৃহস্পতিবার ? ভগবানপুরের স্থানীয় ভীমেশ্বরী হাইস্কুলের মাঠে এদিন বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান চলাকালীনই শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের স্লোগান। তৃণমূলের একটি অংশের অভিযোগ, অনুষ্ঠানের যে লিফলেট ছাপানো হয়েছে তাতে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তরুণ মাইতির নামের আগে রাখা হয়েছে চেয়ারম্য়ান অভিজিৎ দাসের নাম। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন, কেন সভাপতির নামের আগে থাকবে চেয়ারম্য়ানের নাম ?
উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীদের শান্ত করতে ময়দানে নামেন কুণাল ঘোষ, সোহম এবং অখিল গিরির মতো নেতারা। এমনকী সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তরুণ মাইতিও জানান, যা হয়েছে তা নিয়ম মেনেই হয়েছে। এখানে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। কার্যত একই সুর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের গলাতেও। তাঁর দাবি, মান, অভিমান, দুঃখ থাকতেই পারে। সবকিছু মিটে গিয়েছে।
সুযোগ ছাড়া করতে চায়নি বিজেপি। এই ব্য়াপারে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন খোদ নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, সব প্রসাদের ব্যাপারে। যাঁরা পাচ্ছেন না, তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই কারণেই তিনি তৃণমূল ছেড়েছেন বলেও দাবি শুভেন্দুর।