আর বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি নন অনুব্রত মণ্ডল। তবে তাঁর বদলে অন্য কোনও ব্যক্তিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হল না। লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সোমবার কিছু জেলায় সাংগঠনিক পদে রদবদল করল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বীরভূমের জেলা সভাপতির পাশে লেখা রইল কোর কমিটি টু কমিটি এই শব্দটি। বীরভূমে অনুব্রত এই পদে বহাল না থাকলেও নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সংগঠন সামালাতে আস্থা রাখা হয়েছে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের উপরেই।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, গরুপাচার তদন্ত মামলায় গ্রেফতার অনুব্রতকে যে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হবে, সেই প্রক্রিয়া অনেকদিন আগেই শুরু হয়েছিল। তাতে সরকারি ভাবে সোমবার সিলমোহর দেওয়া হল।
কিন্তু জেলায় সংগঠনের রদবদলে তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে রইল মহুয়ার বিষয়টি। টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ইস্যুতে এতদিন কৃষ্ণনগরের সাংসদকে নিয়ে বাড়তি কোনও শব্দ খরচ করেনি রাজ্যের শাসক দল। কিন্তু এদিন কৃষ্ণনগরের দায়িত্ব মহুয়ার কাঁধে রেখে সাংসদের পাশেই দাঁড়াল তৃণমূল।
বছর ঘুরলেই হতে পারে লোকসভার ভোট। সেই কথাকে মাথায় রেখেই জেলায় এই রদবদল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, অনুব্রত সম্পর্কে নীরব থাকলেও, মহুয়াকে নিয়ে নিজের নীরবতা ভেঙেছিলেন অভিষেক। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি মহুয়ার পাশে রয়েছেন। তার প্রতিফলন কৃষ্ণনগরের তালিকায়।