জৈষ্ঠ মাসে শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে জামাই ষষ্ঠীর পাশাপাশি পালিত হয় আরও এক ষষ্ঠী। তা হল অরণ্য ষষ্ঠী। যুগ যুগ থেকে প্রচলিত এই ষষ্ঠীতে জামাই আদর পায় বট অশ্বত্থরা।
বৃহস্পতিবার পরম্পরা ও ঐতিহ্য মেনে এভাবেই অরণ্য ষষ্ঠী পালন হল পুরুলিয়ায়। এই জেলার মানুষের বিশ্বাস গাছই রক্ষা কর্তা। প্রাণের বিকাশ ও সঞ্চারে গাছের ভূমিকা অপরিসীম। তাই, প্রাচীন এই রীতি মেনে আজ আড়ম্বরে উদযাপিত হল অরণ্য ষষ্ঠী।
মানুষের সুখ-দু:খের সাক্ষী বট-অশ্বথও। অরণ্যের সঙ্গে যেমন মিলে যায় জীবন, তেমনই অরণ্য থেকে উঠে আসে লৌকিক উপকরণ। তাই, অরণ্যের আম-জাম-লিচু-কলা দিয়েই জামাইকে বরণ করা হয়। পুরুলিয়াবাসীর বিশ্বাস জামাই ষষ্ঠীতে জামাইদের সমান মর্যাদা দিয়ে পুজো দিয়ে ভোগ নিবেদন করা উচিত্। কারণ, অরণ্য এখানকার রুজি-রোজগার, ক্লান্তিও দূর করে। মনে আনে প্রশান্তি। তাই, জামাই ষষ্ঠী অরণ্য ষষ্ঠীতে রূপান্তরিত হয়েছে এখানে।
এই দিনটি উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই মহিলারা সব রকম নৈবেদ্য ও পুজোর উপাদান সাজিয়ে হাজির হন বৃক্ষের গোড়ায়। শতাব্দী প্রাচীন এই রীতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পুরোহিতরা বলেন, 'একদিকে যখন অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে। অবাধে চলছে বৃক্ষ নিধন সেই সময়ই এক শ্রেণির মানুষ এই সভ্যতায় থেকে বৃক্ষকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে সচেতন হয়ে পুজো করে চলেছেন।'