আজ কৌশিকী অমাবস্যা। তারাপীঠে (TARAPITH TEMPLE)তারা মায়ের(TARA MAA) বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়েছে। করোনা আবহে টানা দু'বছর এই দিনে বন্ধ ছিল মন্দির। এবার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক, তাই সেজে উঠেছে মন্দির চত্ত্বর।
মন্দিরে ঢোকার মুখে রয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড। আজ রাতে মন্দিরে মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। সেবায়েতরা এতে অংশ নেবেন।কথিত আছে, এই দিনই তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করেন সাধক বামা ক্ষ্যাপা । তারাপীঠ শ্মশানের শ্বেত শিমূলতলায় সাধনা করেছিলেন তিনি।
ভক্তকে দেখা দেন মা তারা। সেই থেকে পালিত হয় কৌশিকী অমাবস্যা। এদিন মায়ের শিলামূর্তিকে স্নান করানোর পর পরানো হয় রাজবেশ। মঙ্গল আরতির পর পাঁচরকম ফল, পাঁচরকম মিষ্টি, ক্ষীর দিয়ে দেওয়া হয় শীতল ভোগ।
ভোরবেলায় মাকে রাজবেশে সাজিয়ে মঙ্গল আরতি দিয়ে শুরু করে পূজার্চনা। মাকে শীতল ভোগ নিবেদন করা হয়। তারপরে দুপুরবেলা পঞ্চ ব্যঞ্জন সহকারে খিচুড়ি পোলাও মাছ মাংস নানান রকম ভাজা দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হবে এবং সন্ধ্যারতির পর পুনরায় মাকে শীতল ভোগ নিবেদন করা হবে। এবারে আমাবস্যা দুদিন ধরে থাকবে তাই সারা রাত মন্দির খোলা থাকবে এবং পূজার্চনা চলবে। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ এবং মন্দির কমিটি এই দুদিন তারাপীঠ এ অপ্রীতি কর ঘটনা এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দুবছর করোনার কারনে মানুষের সমাগম বন্ধ থাকার পর এবছর পুরোপুরি সাধারনের জন্য মন্দির খুলে দেওয়ায় প্রশাসনের আশঙ্কা প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটতে পারে। তাই নিরাপত্তার দিকটিও বেশ কঠোর করা হয়েছে। ১৬৭ টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, পোশাকে এবং সাদা পোশাকে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি ড্রোন দিয়ে নজর দারি চালানো হবে। থাকছে মেডিকেল ক্যাম্প এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি রা।