আসানসোল (Asansole) কাঁটায় বিদ্ধ এখন রাজ্য বিজেপি (West Bengal Bjp)। এই লোকসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনে হারের পর থেকেই রাজ্য বিজেপির অন্দরে তোলপাড় চলছে। ফের দল থেকে পদ ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। রবিবারই রাজ্য সম্পাদকের পদ ছেড়েছেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। এরমধ্যেই আসানসোলে হার-সহ একাধিক কারণে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) উপর কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের একাংশের নেতারা। গত রবিবারই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সমঝোতা রেখে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। তাঁর অভিযোগ, ‘‘অনেক মতামত দিলাম রাজ্য নেতৃত্বকে, তাঁরা গ্রহণ করলেন না। বোধ হয় কারও আঁতে ঘা লেগেছে। তাই এ বার যা বলার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলব।’’ কারণ অনুপমের দাবি, যাঁরা এতদিন মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন, তাঁরাই আজ ইস্তফা দিচ্ছেন।
অনুপম ঠিক বলেছেন বলেই সোমবার জানালেন বিজেপির আর এক কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর মতে, রাজ্য নেতাদের এই পরামর্শ দিয়ে কোনও ভুল করেননি অনুপম। তিনি জানান, অনুপম বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি রাজ্য-নেতাদের পরামর্শ দিতেই পারেন। তাঁর কথা রাজ্য-নেতাদের শোনা উচিত। তবে প্রশ্ন হচ্ছে দিলীপ-অনুপমদের পরামর্শ কী শুনছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ? রাজনৈতিক মহলের দাবি, এখনও পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজের সিদ্ধান্তেই কার্যত অনড় সুকান্ত। ইতিমধ্যেই তিনি জানিয়েছেন, দলের রীতি-নিয়ম মেনেই চলতে হবে। কারণ, দলের শৃঙ্খলা সবার আগে। নিজেদের অসুবিধা প্রথমে রাজ্য নেতৃত্বকে ও পরে সন্তুষ্ঠ না হলে রাজ্যের পর্যবেক্ষককে জানাতে পারেন। এর পরেও সর্বভারতীয় সভাপতিকে জানানোর সুযোগ থাকবে।
আসানসোল উপ-নির্বাচনের হারের পর রাজ্যের এই চাপান-উতোরের মধ্যেই জেতা আসন কীভাবে হাতছাড়া হল, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। তবে পরাজয় নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ অমিত শাহ (Amit Shah), জেপি নাড্ডা। সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। দিল্লিতে (Delhi) ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে। মূলত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীদের দিকেই আঙুল উঠেছে হারের জন্য।