আর কয়েকদিন পরেই হয়তো রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতে পারে। তার আগে, বুধবার ছিল রাজ্যের বাজেট। এদিন বাজেট শেষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় দাঁড়িয়েই তিনি দাবি করলেন, কী ভাবে গরিব মানুষের জন্য বাজেট করতে হয় তা এবার দেখিয়ে দিল বাংলা। সীমিত আয়ের মধ্যেও মানুষের উপর করের বোঝা না চাপানোর জন্য চন্দ্রিমার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দাবি করেন, এবারের বাজেট আগাগোড়া কর্মসংস্থানমুখী।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারের রাজ্য বাজেটের সবচেয়ে বড় চমক বাজেট বক্তৃতার মধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের জন্য তিন শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষণা। যা পঞ্চায়েত ভোটের আগের ক্ষতের উপর মলম বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। কারণ, যে ভাবে সরকারি কর্মচারিদের একাংশ এই ইস্যুতে ফুঁসতে শুরু করেছেন, তাঁদের বাগে আনতে এই দাওয়াই বলেই মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে উল্লেখ্য, এই ঘোষণা প্রথমে বাজেটের বইয়ে ছিল না। বিধানসভার মধ্যে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দিকে একটি কাগজ বাড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও এদিনের বাজেটে রাজ্যের প্রস্তাব, রাস্তাশ্রী প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ তিন হাজার কোটি টাকা। তৈরি হবে ১১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা। সারাই হবে পুরনো রাস্তাও। বিধায়কদের এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে এলাকা উন্নয়নের খাতে বাৎসরিক ৬০ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৭০ লক্ষ টাকা। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সি ২ লক্ষ যুবক-যুবতীর আর্থিক সহায়তা বাবদ সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকার ঋণের ঘোষণা। সুযোগ কর্মসংস্থানেরও। বাংলার ১.৮৮ কোটি মহিলা, যাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রাপক, তাঁরা ৬০ বছর পেরোলেই সরাসরি বার্ধক্যভাতার আওতাভুক্ত করা । ডেউচা-পাঁচামিতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা লগ্নির ঘোষণা। চাকরি হতে পারে লক্ষাধিক যুবক-যুবতীর।