আরজি করের ঘটনা নিয়ে ছবি তৈরি ‘দলবিরোধী’ এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দিয়েই সাসপেন্ড করা হয় তৃণমূলের যুবনেত্রী রাজন্যা হালদারকে। সাসপেন্ড করা হয়েছে এই ছবির প্রযোজক ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আর এক নেতা তথা রাজন্যার স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীকেও। কিন্তু তারপরেও শর্টফিল্ম নিয়ে নিজের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ 'আগমনী তিলোত্তমার গল্প’ ছবির অভিনেত্রী রাজন্যা এবং পরিচালক প্রযোজক প্রান্তিকও।
শুক্রবার তাঁদের ছবির পোস্টার প্রকাশ্যে আসার পরই বিতর্ক শুরু হয় । এমন এক স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ছবি তৈরিতে সায় নেই তৃণমূলের । এই বিষয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত । কিন্তু, তাঁদের ছবিতে কোনও পরিবর্তন আনা হচ্ছে না ।
রাজন্যা হালদারের স্পষ্ট বক্তব্য, "দলের অনুমতি নেওয়ার মতো বিষয় ছিল না!" বরং উল্টে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন দলের বেশ কিছু কার্য-কারণে। তাঁর প্রশ্ন, "কুণাল ঘোষ যখন গান লেখেন, দেব যখন সিনেমা করেন, তখন দলের অনুমতি নেন?"
আনন্দবাজারকে রাজন্যা জানান, প্রচ্ছদ দেখে কখনও গোটা উপন্যাস কেমন, তা নির্ধারণ করা উচিত নয় । তাঁর মনে হয় দলীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত । তবে, কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি তৈরি করেছেন, তা সিনেমা মুক্তির পরে সকলেই বুঝতে পারবেন । তাঁর কথায়, 'ছবি তৈরি করে আমি যদি বলতে না পারি, কোন সময়কালের ঘটনা তুলে ধরছি, তা হলে তো কোনও প্রাসঙ্গিকতাই থাকবে না'। অর্থাৎ দলের তরফে সাসপেনশন এলেও, ছবি মুক্তি নিয়ে অনড় রাজন্যা ।
রাজন্যা ও প্রান্তিককে সাসপেন্ডের বিষয়ে কুণাল ঘোষ জানান, আরজি কর নিয়ে একটি শর্ট ফিল্ম তৈরির খবর সামনে এসেছে। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ, তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় নির্যাতিতার বিচার চেয়ে সরব হয়েছে। তাই এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়কে হাতিয়ার করে কেউ যদি প্রচার পেতে চান, তাঁরা তার বিরোধী ।