বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের কোলে সার দিয়ে বসে রয়েছেন বন কর্মীরা। সম্বল শুধু অপেক্ষা। যে অপেক্ষা শুরু হয়েছিল আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে থেকেই। গরু, মোষ, ছাগল, অনেক কিছু রাখা আছে। কিন্তু বাঘিনী কোথায় ? ওর খিদে পায়নি !
বন কর্মীদের প্রশ্ন, সেই কবে থেকে তো চিরুডির জঙ্গলে সে গা ঢাকা দিয়েছে। ভিতরে কী করছে কে জানে ? চিন্তা তো বাড়ছে। কারণ, ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে তার জন্য খাবার রয়েছে অনেক। চিরুডি নাকি সেই রসদ নেই বলেই দাবি বন দফতরের। তাহলে কী উপোস করে জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছে এই বাঘিনী ?
আহা কত ভাল ছিল জীবনটা। গত নভেম্বর গাড়ি চেপে বন্ধুদের সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ওড়িশা যাচ্ছিল তারা। নতুন জঙ্গল, নতুন পরিবেশ, নতুন বন্ধু হবে, এই ভেবেই যমুনা ও জিনাত-সহ আর আট বাঘকে নিয়ে সিমলিপাল আসছিলেন বন কর্মীরা।
ওড়িশা বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিমলিপালে আসার আগেই নাকি দলছুট হয়ে যায় জিনাত এবং যমুনা। কী ভাবে তারা দলছুট হয়েছিল, তা এখন তদন্তের বিষয়। জানা যায়, সিমলিপাল থেকে হাঁটা শুরু করে দুই বন্ধু জিনাত ও যমুনা।
ওড়িশা থেকে প্রথমে খবর যায় ঝাড়খণ্ডে। ব্যারিকেড করে একজনকে অ্যারেস্ট করে ঝাড়খণ্ডের বন দফতর। জিনাত না যমুনা, গ্রেফতার কে ? তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, রেডিও কলার না থাকায় কে যমুনা আর কে জিনাত, তা এখনও পরিস্কার হচ্ছে না।
যদিও, রাজ্যের বন দফতরের দাবি, বান্দোয়ানের চিরুডির জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে জিনাত। বন কর্তাদের মতে, ওড়িশা থেকে তার ব্যাপারে ইনফরমেশন দেওয়া হয়েছে, তাতে নাকি সবকিছু হুবহু মিলে যাচ্ছে। কী মিলল না আর কী মিলল না, তা নিয়ে কে চিন্তা করে ?
চিন্তা একটাই... টোপ গিলবে কী এই বাঘিনী ? নাকি বাড়বে চিন্তা আর হা-পিত্যেস ! তাই বান্দোয়ানের এখন গালে হাত।