বিরিয়ানি (Biriyani) মানেই অফুরান আনন্দ। এক অন্যরকম ভালবাসা। যার জন্য অবলীলায় হেঁটে যাওয়া যায় মাইলের পর মাইল। বিরিয়ানির বহু রকমফের আছে সারা দেশজুড়েই। তবে, রসিকজনের মতে, মেটিয়াব্রুজে থাকাকালীন লখনউয়ের নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের খানসামাদের হাত দিয়ে চাল, তুলতলে মাংস ও আলু সহযোগে যে বস্তুটি (Biriyani) বেরিয়েছিল, সেটির তুলনা একমাত্র কলকাতা ছাড়া এ ভুবনের আর কোথাও মেলা ভার! সেই বিরিয়ানি এবার রেস্তোরাঁ পেরিয়ে একেবারে দুয়ারে হাজির! তাও মাত্র ৬০ টাকায়! হাওড়ার শ্যামপুকুর থানার বাসিন্দা বিধান চক্রবর্তী বাইকের পেছনে বাঁধা লাল রংয়ের হান্ডি বসিয়ে বিরিয়ানি বিক্রি করছেন। তাঁর এই উদ্যোগের নাম ‘দুয়ারে বিরিয়ানি’ (Duare Biriyani)। এই প্রকল্পের নামকরণ নিয়েই প্রথম থেকেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: আবার পর্দায় একসঙ্গে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা জুটি, লন্ডন-স্কটল্যান্ডে হবে ছবির শুটিং
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে এই উদ্যোগের নামের (Duare Biriyani) মিল নজর এড়ায়নি সাধারণ মানুষের। এই মিল কি কাকতালীয়? এই প্রশ্নের উত্তরে এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া 'দুয়ারে সরকার' নামটা তাঁর খুব পছন্দ হয়েছিল। সেখান থেকে 'দুয়ারে বিরিয়ানি' নামের জন্ম।
৬০ টাকায় দুয়ারে বিরিয়ানির (Duare Biriyani) মালিক দিচ্ছেন- এক পিস চিকেন এবং আলু। এত কম খরচে এই বিরিয়ানি বিক্রিতে কতটা লাভবান হচ্ছেন বিধান। তাঁর কথায়, খুব ভাল বিক্রি হচ্ছে বিরিয়ানি। এতটা সাড়া পাব সত্যিই আশা করিনি।
চাউমিন, রোল, মোগলাই পরোটা পেরিয়ে বাঙালির 'জাতীয় খাদ্য' হিসেবে বহুদিনই রসনাতৃপ্তি করে চলেছে বিভিন্ন স্বাদের বিরিয়ানি। অথচ, মূল্যের দিক দিয়ে একেবারে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে ছিল না এটা কোনওকালেই। থাকলেও, তার গুণমান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের অবকাশ থেকে যেত। সেই শূন্যস্থানও পূরণ করার ব্যাপারে আশাবাদী বিধানবাবু।
এর আগে তিনি রাজস্থানে কাজ করতেন। সেখানে 'স্ট্রিট ফুড'-এর দামও অনেক বেশি ছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি সাধারণ মানুষের বাজেটের মধ্যে তাঁদের খাবার দিতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যে উদ্যোগকে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়েই বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ান এই বিরিয়ানি-বাহক!