পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর। সরস্বতী পুজোর বেলা। শান্ত জনপদে বইছে প্রেমের হাওয়া। রাস্তার একপাশে বেঞ্চি পাতা। তাতে বসে রয়েছেন এক যুবক। গায়ে সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি আর কালো হাফ প্যান্ট। শান্ত মেজাজে বসে রয়েছেন। পাশে রয়েছে তাঁরই স্ত্রীর কাটা মুন্ডু। যেখান থেকে অবিরাম রক্ত ধরছে।
বাংলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের এই ছবিতে শিহরিত গোটা রাজ্য। অভিযুক্তের নাম গৌতম গুছাইত। পরিবারের দাবি, গত তিন বছর তাঁদের বাড়ির ছেলে একটু একটু করে মানসিক অসুখে ভুগতে শুরু করেছিল। যার প্রমাণ ২০২১ সালে এক মার্চ মাসে কলকাতায় চিড়িয়াখানায় এসে সিংহের খাঁচায় ঢুকে পড়েছিল এই যুবক।
তিন বছর পর সেই গৌতমই রাস্তায় ঘুরেছেন স্ত্রী ফুলরানির মুন্ডু হাতে নিয়ে। কাঠারি দিয়ে কোপানো দেহ পাওয়া গিয়েছে বাড়ির উঠোন থেকে। গৌতমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামবাসীদের দাবি, আর যেন তাঁকে রাস্তায় ছাড়া না হয়। দাদা উত্তম গুছাইত জানিয়েছেন, ভাইয়ের সংসারে তেমন কোনও অশান্তি ছিল না। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ ভাইয়ের এই রূপ তাঁদের জীবনে আতঙ্ক তৈরি করত। সেই রূপ দেখে আজ শিহরিত গোটা বাংলা।