রাতভর জঙ্গল থেকে লোকালয়ে দাপাদাপি মত্ত হাতির (Elephant Attack)। বীরভূমে (Birbhum) হাতির হামলায় নিহত হলেন খোকন প্রসাদ নামে এক বনকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ির (Suri) অবিনাশপুর গ্রামে। ঘটনায় স্তম্ভিত বনবিভাগের আধিকারিকরাও। শেষে অবশ্য উন্মত্ত হাতিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হয়েছে। তাঁকে আপাতত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বনদফতর সূত্রে খবর, সুস্থ হয়ে উঠল হাতিটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের অবিনাশপুর গ্রামে হামলা চালায় একটি উন্মত্ত হাতি। লোকালয়ে হাতি ঢোকার খবর জানিয়ে মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করছিলেন বনকর্মী খোকন প্রসাদ। ঠিক সেই সময় হাতির সামনে পড়ে যান। বুকে-পায়ে আঘাত লাগে। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে সিউড়ি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বিকেলের দিকে প্রাণ হারান ওই বনকর্মী।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে বেনোজল, রবিবার দেবাংশুর ফেসবুক পোস্টে নতুন বিতর্ক, পোস্ট মুছলেন তৃণমূল নেতা
শনিবার বর্ধমান থেকে অজয় নদ পেরিয়ে বীরভূমের দুবরাজপুরের লোকালয়ে একটি হাতি ঢুকে পড়ে। খবর পাওয়ার পরই এলাকায় আসেন বন দফতরের কর্মীরা। তাঁকে নিকটবর্তী ইলামবাজারের জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। সেই মতো হুলা পার্টিতে সতর্ক করে রাতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু হাতি ততক্ষণে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। ঘুমপাড়ানো গুলি ছুঁড়ে হাতিটিকে বাগে আনেন বনকর্মীরা। তারপর বিরাট ক্রেনে তুলে হাতিটিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পুরন্দরপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বনপাল কল্যাণ দাস বলেন, "হুলা পার্টিকে প্রস্তুত করে আমরা হাতিটিকে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাদেরই এক কর্মী স্থানীয়দের সতর্ক করার সময় হাতিটির সামনে পড়ে যান। প্রথমে গুরুতর আহত হন, পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।"