একটা খুন, তাতেই জট পাকিয়ে গিয়েছে সমস্ত হিসেবনিকেশ। সোমবার সন্ধ্যায় প্রেমিকের হাতে খুন হয়েছেন সুতপা চৌধুরী। আর তারপরেই দুই বাড়ির মধ্যে শুরু হয়েছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।
নিহত সুতপা চৌধুরী মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা। বছর বারো আগে মালদহের ইংরেজবাজার পুর এলাকার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করে সুতপার পরিবার। সুশান্ত পড়াশোনার জন্য থাকত তার পিসি শান্তিরানি চৌধুরীর বাড়িতে। মালদহের গৌড় কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র ছিল সুশান্ত। তার পিসির বাড়ি সুতপার বাড়ির কাছেই। সুশান্তের পরিবারের দাবি, সেই সূত্রেই সুশান্ত এবং সুতপার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সুশান্তের কাকিমার কথায়, ‘‘সুতপার সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্ক ছিল। সুশান্ত সুতপাকে ভালবাসত। আমি জানি, ওদের সম্পর্কটা বছর দুয়েকের। কিন্তু ওর পরিবারের লোকজন সুশান্তের সঙ্গে বিয়ে দিতে চায়নি। এমনকি, ক্লাবের ছেলেদের দিয়ে মারধর করিয়েছে। সুশান্তের ল্যাপটপও কেড়ে নিয়েছিল। গতকাল খবরটা পাওয়ার পর থেকে, আমরা ভাবতে পারছি না কী ভাবে এমন কাণ্ড ঘটল। সুশান্ত পিসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। ছেলেটার জীবনটাও তো নষ্ট হয়ে গেল।’’
উল্লেখ্য, বহরমপুরে কলেজ পড়ুয়া খুনের ঘটনায় ধৃত সুশান্ত চৌধুরীকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার বহরমপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় সুশান্তকে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন-সহ আরও বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। তার ভিত্তিতেই বিচারক নীলাদ্রি নাথ অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে পাঠায়। ১০ দিন পর ফের তাকে আদালতে তোলা হবে।
অন্যদিকে, ছাত্রীর বাবা স্বাধীন চৌধুরীর কথায়, সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ মেয়েকে মেসেজ করেন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, এই মাসে কত টাকা পাঠাতে হবে...। কথা শেষ হল না। আবার কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্বাধীন। একটু সামলে নিয়ে বললেন, ‘‘মেয়ের এমন পরিণতি হবে ভাবতেও পারিনি।’’