বিজয়া দশমীর পর কেমন যেন হঠাৎ করে সব উদযাপনে দাড়ি পরে। বাংলার বুকজুড়ে তখন হু হু করা শুন্যতা। নাহ, বাংলার অন্য জায়গায় ছবিটা এমন হলেও উত্তরবঙ্গের কিছু কিছু এলাকায় কিন্তু সাজো সাজো রব। একাদশীর দিন মহা ধুমধামের সঙ্গে হয় ভান্ডানী মায়ের পুজো।
ময়ানাগুড়ির বার্নিশ গ্রামের দেবী ভাণ্ডানী দুর্গারই এক রূপ, তবে এখানে দেবীর সঙ্গে চার ছেলেমেয়ে, বাহন সবাই থাকে, থাকে না কেবল মহিষাসুর। আর দেবীর বাহন বাঘ। দেবী দশভুজা নন।
৫০০ বছরেরও বেশি আগে শুরু হওয়া এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক আশ্চর্য গল্প। কথিত আছে, দেবী দুর্গা বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ি থেকে কৈলাসে ফিরছিলের সন্তানদের নিয়ে। ঘন জঙ্গলে পথ হারিয়ে ফেলে স্থানীয় এক রাখালের বাড়িতেই রাত কাটালেন, শুনলেন তাঁর সুখ দুঃখের কথা। তিস্তাপাড় যেন শস্যশ্যামলা হয়, বর চাইলেন রাখাল, সেই থেকেই পুজোর শুরু।