নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার ওই মামলার শুনানি হয়। তবে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে। আইনজীবীদের একাংশ মনে করছে পুজোর পর ওই মামলাটির রায়দান হতে পারে। সোমবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহের এজলাসে মামলাটির শুনানি হয়।
শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়েরও শুনানি ছিল সোমবার। সেই শুনানিও শেষ হয়েছে। কিন্তু কোনও রায়দান হয়নি।
কেন পুজোর পর রায়দান?
পুজোর জন্য ষষ্ঠী থেকে ছুটি শুরু হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই কারণে বন্ধ থাকবে আদালত। ফলে এখন আর রায়দানের সম্ভব নেই। পুজোর পরেই হবে রায়দান।
কলকাতা হাইকোর্ট আগেই এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে জানিয়েছিল পুজোর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলার শুনানির সম্ভাবনা কম। এবং অন্যদিকে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় পার্থকে গ্রেফতার করেছিল। সেই মামলাটির জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। ১৭ অক্টোবরে ফের শুনানি হবে। ফলে পুজোর আগে কোনওভাবেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেলমুক্তির সম্ভাবনা নেই। ফলে টানা তিনবছর জেলেই পুজো কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
২০২২ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। নাকতলায় তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় কোটি কোটি টাকা। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা করা হয়েছিল তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর ফ্ল্যাট থেকেও উদ্ধার করা হয় প্রায় ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
একাধিকবার প্রভাবশালী তত্ত্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন খারিজ হয়ে গিয়েছে। যদিও তাঁর আইনজীবী জামিনের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে আদালতে বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন আর প্রভাবশালী নন। তাঁর পাশে কেউ নেই। সুতরাং এবার তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। এমনকি শুনানিতে অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গও তুলে আনেন আইনজীবী।