বাগুইআটিতে দুই পড়ুয়া খুনের (Baguiati murder case) ঘটনায় ধৃত তিন জনকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল বারাসত আদালত। শামিম আলি, সাহিল মোল্লা ও দিব্যেন্দু দাসকে আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের (Police custody) নির্দেশ দেন। বাগুইআটিকাণ্ডে মঙ্গলবারও অভিজিৎ বসু নামে আর এক জন ধৃতকে বারাসত আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তাঁকেও ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বারাসত আদালত।
পুলিশ মনে করছে, পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে দুই ছাত্রকে। মিনাখাঁ থেকে সেলফ সার্ভিসের গাড়ি ভাড়া নিয়ে গিয়েছিল সত্যেন্দ্র। গাড়িতে পাঁচ জন ছিল। ছিল দড়িও। অনুমান যা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই দুই ছাত্রকে।
Baguiati Students Murder : বাগুইআটিতে জোড়া খুনের ঘটনায় সাসপেন্ড আইসি কল্লোল ঘোষ
ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২২ অগস্ট অপহরণের আগে ১৮ অগস্ট নিউটাউনে গোপন বৈঠক করেছিলেন তাঁরা। ওই বৈঠকে সত্যেন্দ্র, অভিজিৎ-সহ সকলেই ছিলেন। ভাড়াটে খুনিদের সুপারিও দেয় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র। ভাড়া করা হয় গাড়িও। ৫০ হাজার টাকার জন্য খুন করতে চাইলে সত্যেন্দ্র কেন এত টাকা খরচ করলেন, এখন এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে গোয়েন্দারা।