মনু সংহিতায় উল্লেখ রয়েছে, ‘যত্র নার্যন্তু পূজ্যতে রমন্তে তত্র দেবতাঃ/ যত্রৈতান্তু ন পূজ্যতে সর্বান্তুত্রাফলাঃ ক্রিয়া’। যার অর্থ, নারীরা যেখানে পুজো পান, সেখানেই ঈশ্বর বিরাজমান। অর্থাৎ নারীদের অসম্মান হলে সব পুজোই বৃথা। এই কারণেই দেবীর সমস্ত রূপ, সমস্ত ভাব আরাধনা করা হয়। কুমারীরা শুদ্ধতার প্রতীক, হিন্দু শাস্ত্রে ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী অজাতপুষ্পবালাকে কুমারী বলা হয়। অষ্টমী বা নবমীতে রীতি মেনে কুমারী পুজো করা হয়। বর্তমানে এই প্রচলন কিছুটা কমলেও এখনও বেশ কিছু জায়গায় রীতি মেনে কুমারী পুজো করা হয়।
নবমীতে বাঁকুড়া জেলার জয়রামবাটীতে মা সারদার পবিত্র জন্মস্থানের মাতৃ মন্দিরে শুরু হয়েছে কুমারী পূজা। দীর্ঘদিনের রীতি অনুসরণ করে বেলুড় মঠের নিয়ম কানুন মেনে মা সারদার পরিবারের পাঁচ বছর বয়সী কুমারী শুভাঙ্কি মুখার্জীকে দেবী রুপে সাজিয়ে পুজো করেন মাতৃমন্দিরের মহারাজরা। মা সারদার পবিত্র জন্মভিটেতে অষ্টমীর সকালে এই কুমারী পুজো দেখতে দূর দূরান্তের মানুষ ভিড় জমান মাতৃ মন্দির চত্বরে।
অন্যদিকে প্রতিবারের মতো এবছরও প্রথা মেনে বেলুড় মঠ ও জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে কুমারী পুজো হয়েছে। চিন্ময়ী দেবীকে মৃন্ময়ী রূপে করা হয়েছে আরাধনা।