নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam ) অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) টাকা কি হৈমন্তীর কাছে গিয়েছে ? এমনই প্রশ্ন ও অভিযোগ উঠে আসছে বারবার । এদিন, এই প্রসঙ্গে আলিপুর সিবিআই আদালতের বাইরে তাপস মণ্ডলের স্পষ্ট জবাব, তিনি যা বলার বলে দিয়েছেন । আর এই বিষয়ে কিছু বলতে চান না । উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh), নিলাদ্রি ঘোষ (Niladri Ghosh) ও তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) জেল হেফাজত শেষ হচ্ছে আজ,বৃহপ্সতিবার । এদিন, তাঁদের আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছে ।
এদিন, আদালতের বাইরে হৈমন্তীর বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হন কুন্তল ঘোষও । প্রিজন ভ্যান থেকে নামার সময় তিনি হাসতে হাসতেই বলেন, তদন্তকারী অফিসারা সব বের করে নেবেন । জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার আদালতে এই তিন অভিযুক্তের ফের জেল হেফাজতের আবেদন করবে সিবিআই । সিবিআই সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য মিলেছে । বিশেষ করে বি.এড. ডি.এল.এড কলেজে ছাত্র ভর্তি থেকে শুরু করে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউতে বসানো, পাশ করানো ও নিয়োগপত্র পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কুন্তল ঘোষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল । এছাড়া তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক নাম পেয়েছে সিবিআই । এসব তথ্য এদিন আদালতে পেশ করবে সিবিআই ।
উল্লেখ্য,ধৃত কুন্তল ঘোষের নথি যাচাই করতে গিয়ে সোমা চক্রবর্তীর নাম হাতে এসেছে ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০২০ সাল থেকে সোমা চক্রবর্তী নামক ওই মহিলার সঙ্গে বেশ কয়েকবার আর্থিক লেনদেন চালান কুন্তল। কুন্তল ধাপে ধাপে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা সোমাকে দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছে ইডি। ধৃত বলাগড়ের তৃণমূল যুবনেতার ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখেই সোমাকে তলব করে ইডি। তিনি ইতিমধ্যেই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ঘুরে এসেছেন বলেও খবর।