বঙ্গ রাজনীতিতে স্মরণীয় শুক্রবার। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে চায়ের নিমন্ত্রণ রাখতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই এবার কাঁথি শান্তিকুঞ্জ থেকে নাকি চা খাওয়ার নিমন্ত্রণ এল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর কাঁথি থেকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু করবেন অভিষেক। ওই দিনই তাঁকে একবার শান্তিকুঞ্জে আসার অনুরোধ করেছেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিবেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় শুভেন্দুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে কাঁথির সাংসদ বর্ষীয়ান শিশির অধিকারীর স্বাস্থ্য়ের খবর নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শুক্রবার রাতেই মমতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিশির অধিকারী।
আগামী ৩ ডিসেম্বর কাঁথির কলেজ মাঠে জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ওই জায়গা থেকে শান্তিকুঞ্জের দূরত্ব মাত্র ২০০ মিটার। ইতিমধ্যেই দিবেন্দু জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির সামনেই সভা করবেন অভিষেক। তাই তাঁকে চা খেতে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অভিষেক এলে ভালই লাগবে বলে দাবি তমলুকের সাংসদের। গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে কাঁথিতে ভোট প্রচারে এসে তাঁকে টার্গেট করেছিলেন অভিষেক। এমনকী গদ্দার বলেও অভিযোগ করেছিলেন। অভিষেকের অভিযোগ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। রাজনৈতিক মহলের দাবি, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি কেমন যেন একটু অন্যরকম মনে হচ্ছে।
খাতায় কলমে অধিকারী বাড়ির দুই সদস্য শিশির এবং দিবেন্দু এখনও তৃণমূল সাংসদ। তাই, শান্তিকুঞ্জে অভিষেককে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে এরমধ্য়ে অন্য কিছু দেখছেন না রাজনীতির কারবারিরা। কিন্তু বিষয় হল, গত দু বছর কলকাতার শান্তিনিকেতনের সঙ্গে কাঁথির শান্তিকুঞ্জের সম্পর্ক যে অন্য ধারায় বয়েছিল।