নারী নির্যাতনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। নদীয়ার হাঁসখালি থেকে সম্প্রতি বীরভূমের শান্তিনিকেতন। একের পর এক ঘটনা সামনে এসেছে। এরই মধ্যেই বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে মুশির্দাবাদের তৃণমূল নেতা আফরোজ সরকার (Afroz Sarkar)। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় বামেদের মিছিল নিয়ে তিনি বলেন, "বেশি যদি বাড়াবাড়ি করে ঠান্ডা করে দেব। আর ঠান্ডা করতে গেলে ডান্ডার দরকার আছে।" এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করে বিরোধীরা। তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) দাবি, কে কোথায় কী বলেছে, তা না জেনে মন্তব্য না করাই ভালো। এসব ছোটখাটো ব্লক সভাপতির খবর জানেন না তিনি।
এই ঘটনার পরই তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি জানান, তৃণমূলের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না। তিনি বলেন, "এটাই চলছে। ভোট হচ্ছে, এজেন্ট বসাতে পারবেন না। ভোট দিতে পারবেন না। আগামীকাল গণনা হবে। কাউন্টিং এজেন্ট দিতে পারবেন না। এই গণতন্ত্র যারা উপহার দিয়েছেন, তাদের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না।"
ভগবানগোলায় ব্লক সভাপতির মন্তব্য নিয়ে কড়া আক্রমণ করেছেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তীও (Sujan Chakraborty)। তিনি জানান, "মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এরা এতই অনুপ্রেরিত, যে ঠিকঠাক কথাও বলতে পারছে না। স্থির হয়ে বসতেও পারছে না। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত, আগে তাকে গ্রেফতার করা এবং যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা। যাতে বোঝা যায়, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন আছে।"
আরও পড়ুন: নাশকতার আশঙ্কায় হাই অ্যালার্ট জারি জঙ্গলমহলে, বাতিল করা হল পুলিশকর্মীদের ছুটি
শুক্রবার হাঁসখালির গণধর্ষণ ও মৃত্যুর প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগোলায় মিছিল করে বামেরা। বাম নেতৃত্বকে আক্রমণ করতে গিয়েই আফরোজ সরকার বলেন, , "পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে এবং আমরাও আছি। বিরোধী দলের লোক বলুক না যদি ধর্ষণ করে থাকে তাহলে আমরা থানার বড় বাবুকে ও এসপিকে বলব। যে ধর্ষণ করেছে তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য বলা হবে।"