ভাঙড়ে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধি আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু । মৃত আইএসএফ কর্মীর নাম হাসান আলি মোল্লা (২৬) । পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে হাসানকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা । আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি । বুধবার সকালে মৃত্যু হয় ওই আইএসএফ কর্মীর । মৃতের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা । তাঁর অভিযোগ, আরাবুল-শওকতের লোকজন র্যাফের পোশাক পরে গুলি চালায় বলে অভিযোগ । তিনি অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন । অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারাও শওকত মোল্লা ও আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ।
মঙ্গলবার রাত থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড় । বোমা-গুলির শব্দে রাতের ঘুম কেড়েছে ভাঙড়বাসীর । বুধবার সকালেও থমথমে এলাকা । ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে সেখানে । এদিকে, আইএসএফ কর্মীর মৃত্যুর খবরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায় । শওকত মোল্লা ও আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা । তাঁদের অভিযোগ, রাতে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা-গুলি চলেছে । পুলিশ চলে যাওয়ার পর আরাবুল আর শওকতের দলবল এসব করেছে বলে অভিযোগ । শান্তি চাইছেন তাঁরা । মৃত আইএসএফ কর্মীর শ্বশুরের অভিযোগ, ."আইএসএফ জিতেছিল বলে ওরা আনন্দ করছিল। সেই সময় রাত্রিবেলা খবর আসে হাসানের গুলি লেগেছে। তৃণমূলের লোকজন ওকে গুলি করে ।"
মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, র্যাফের পোশাক পরে গুলি চালিয়েছে আরাবুলের বাহিনী । তিনি বলেন, "আরাবুল-শওকতের লোকজন র্যাফের পোশাক পরে এসে ওকে গুলি করেছে। তিনজন এসেছিল। আরাবুলের ছেলেও এসেছিল। আমি ওদের শাস্তি চাই। আমার তিনটে বাচ্চাকে অনাথ করে দিল।"