শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৫মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী(Paresh Adhikary)। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। উল্লেখ্য, নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগেই নিজাম প্যালেসে(Nizam Palace) আসেন পরেশ অধিকারী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিবিআই দফতরে(CBI Office) পৌঁছানোর পরে তাঁকে(Paresh Adhikary) প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা ধরে জেরা করা হয়। জেরা শেষে বেড়িয়ে সোজা চলে যান এমএলএ হোস্টেলে(MLA Hostel)। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ খোলেননি পরেশ। শুক্রবার ফের সিবিআইয়ের তলবে পৌনে এগারোটা নাগাদ নিজাম প্যালেসে(Nizam Palace) আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায়(SSC Recruitment Corruption) পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর। আর এই মামলায় মামলাকারী ববিতা সরকার পেয়েছিলেন ৭৭ নম্বর।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: 'বাম আমলে চিরকুট দিয়ে চাকরি হত', এসএসসি বিতর্কের মাঝেই মমতার আক্রমণ
কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) জানায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই নম্বরের ফারাক আসলে অনেকটা। তার থেকেও বড় কথা হল, ববিতা সরকার পারসোনালিটি টেস্ট দিয়েছিলেন। তাতে ৮ নম্বর পেয়েছিলেন। কিন্তু অঙ্কিতা অধিকারী পারসোনালিটি টেস্টই দেননি। এর থেকেই পরিষ্কার যে অঙ্কিতা অধিকারীকে(Ankita Adhikary) মেধা তালিকায় নিয়ে আসা হয়। মেধা তালিকা তথা ওয়েটিং লিস্টে ২০ নম্বরে ছিলেন ববিতা সরকার। অঙ্কিতাকে ১ নম্বরে ঢোকানোয় ববিতা চলে যান ২১ নম্বরে। এই অবস্থায় মেধা তালিকা থেকে প্রথম ২০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ফলে ববিতা বঞ্চিত হন।
শুধু পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ে নয়, আরও এক প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার জন্য মেধা তালিকায় কারসাজি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাঁর নাম মনি দাস।