অপারেশন অশোক !
ভাটপাড়ায় তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় উঠে এল বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। একদা বাংলার অক্সফোর্ড এখন দুষ্কৃতীদের চারণভূমি। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। রোজই গ্যাংওয়ার দেখে অভ্যস্থ এলাকার মানুষ। একটা সময় এই এলাকা ছিল জুটমিলের জন্য বিখ্যাত। সেই সময় জুটমিলের রাজনীতি নিয়ে উত্তপ্ত ছিল জগদ্দল, কাঁকিনাড়া। আর এখন ইস্যু এলাকা দখল।
এই এলাকা দখলের লড়াইতেই কার্যত প্রাণ গিয়েছে তৃণমূল নেতা অশোক সাউয়ের। এমনটাই দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। এরপরেও এই ঘটনায় উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। অশোক খুনের রাতে বারাকপুর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল কৌসর নামের এক যুবক। পুলিশের দাবি জেরায় সে জানিয়েছে, দাদার খুনের বদলা নিতেই তৃণমূল নেতাকে খুন করিয়েছে সুজল সাউ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, বুধবার সকালে মাত্র পাঁচ মিনিটেই শেষ হয়েছিল অপারেশন। পালঘাট রোডের চায়ের দোকানে এসে সবে বসেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি অশোক সাউ। পিছন থেকে এসে তাঁর উপর হামলা চালায় দু জন। মুখ খোলা অবস্থাতে তারা ওই এলাকায় এসেছিল।
এই ঘটনার পিছনে পুরোদস্তুর রাজনীতি রয়েছে বলেই দাবি করেছে এলাকার বাসিন্দারা। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সেই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে শাসক দল। ঘটনার দিনেই অবশ্য তৃণমূল-বিজেপির আকছাআকছি প্রকাশ্যে এসেছে।
এই অবস্থায় ঘটনার মূল অভিযুক্ত পঙ্ককে এখন খুঁজছে পুলিশ। যার প্ররোচনাতেই তৃণমূল নেতা খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। এরপরেও ঘুম নেই ভাটপাড়ার। একদা টোল পন্ডিতদের এই এলাকার এখন ঘুম ভাঙে শুধু বোমা আর বুলেটের আওয়াজে।