তিনি দীর্ঘদিনের অতি নির্ভরযোগ্য প্রশাসনিক অধিকর্তা। জেলাশাসক (DM) হিসেবে জেলা প্রশাসন সামলাতে তাঁর দক্ষতা নিয়ে এতদিন প্রশ্ন ছিল না তেমন। তবে সম্প্রতি চিত্রটা বদলে গেল। জেলার নাগরিক পরিষেবায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল সরকারি কর্মী, আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। এমনকী গত ৩০ মে পুরুলিয়ায় যখন প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মমতা (Mamata Banerjee) সেই সময়েও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে। এই ঘটনার ঠিক ২ দিনের মধ্যেই বদলি করে দেওয়া হল পুরুলিয়ার (Purulia) জেলাশাসক রাহুল মজুমদারকে। তাঁকে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ এবং আসানসোল পুর-নিগমের সিইও পদে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলেজ ফেস্টগুলির ওপর এবার কড়া নজর ,নজরুল মঞ্চের বিশৃঙ্খলার পর বললেন ব্রাত্য বসু
বৃহস্পতিবারই নবান্নের (Nabanna) তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে তাঁর নতুন দায়িত্বের কথা। পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ মোট ৮ জেলার জেলাশাসককে বদলির বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
গত ৩০ মে পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসক (Purulia DM) রাহুল মজুমদারকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইটভাটা থেকে পাওয়া রাজস্বের নাকি হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি কর্মচারীদের ‘পকেটে’ চলে যাচ্ছে একাংশ। প্রশাসনিক বৈঠকে এমন অভিযোগ শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন মমতা (Mamata Banerjee)। জেলাশাসকের উদ্দেশে তিনি বলেন, "তুমি ডিএম শুনতে পাচ্ছো? এগুলো কিন্তু তৃণমূল করেনি। করছে প্রশাসনের নিচের তলার কর্মীরা।" তিনি আরও বলেছিলেন, "নিজেরা টাকাটা নেয় আর নিজেরাই খেয়ে নেয়! হোয়াট ইউ আর ডুয়িং? কী জেলা চালাচ্ছ গো তুমি? এত দিন ধরে জেলায় আছ! আমার ধারণাই বদলে গেল। এতকিছু দিচ্ছি মানুষকে! আর কত চাই? আমার পার্টির লোক হলে আমি টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম।"