বেশ কিছু অঙ্ক মিলছে না। রায়গঞ্জের গৃহবধূ খুনে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। ধৃত প্রবাল সরকারের সঙ্গে সুপ্রিয়া দত্তের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সেই তথ্যেই শিলমোহর পড়েছে।
গত ১১ নভেম্বর বিকেলে রায়গঞ্জের রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় বাড়ি থেকে সুপ্রিয়া দত্ত নামে এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয়। খুনের সময় ওই মহিলা একাই বাড়িতে ছিলেন বলে জানায় পরিবার। তদন্তে নেমে পুলিশ অনুমান করে, এর পিছনে হয় তো কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে। প্রবালের গ্রেফতারির পর সেই সন্দেহ আরও মজবুত হয় তদন্তকারীদের। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে ডিএসপি রিপন বল জানিয়েছেন, হয় তো বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। প্রবালকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা বলেও জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক।
তদন্তকারীদের মতে, লকডাউনের সময় প্রবালের সঙ্গে সুপ্রিয়া দেবীর ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। ফেসবুকেই আলাপ হয় দুজনের। পুলিশের মতে, লকডাউন উঠতেই সামনাসামনি দেখা হয় তাঁদের। ফেসবুকে নিজের পরিবারের ছবিও আছে প্রবালের। ঘটা করে জন্মদিন পালন করতেও দেখা যায় তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে। ঠিক সেই সময় ফেসবুকে নারী সচেতনতার বার্তাও শেয়ার করেন প্রবাল। কখনও স্বামী বিবেকানন্দের ছবি পোস্ট করেন প্রবাল। সমাজমাধ্যমে এই বার্তা দেওয়া প্রবাল, কীভাবে ওই গৃহবধূর গলার নলি কেটে খুন করতে পারেন। সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারী আধিকারিকদের।
বুধবার বিকেল ৩টে-সাড়ে ৩টে নাগাদ ফালাকাটার একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রবালকে। পুলিশ যাতে চিনতে না পারে, মাথা প্রায় কামিয়ে নিয়েছিল সে। ওই হোটেল থেকে প্রবালের বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুপ্রিয়ার বাড়ি থেকে উধাও হওয়া দুটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে পুলিশ। রায়গঞ্জের রবীন্দ্র পল্লীতে সিসি ক্যামেরায় যার ছবি ধরা পড়েছিল, সে আসলে এই প্রবাল।