গত বছরের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ। ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে লোকারণ্য। তৃণমূলের শহীদ মঞ্চে মাইক হাতে পাওয়া গিয়েছিল এক নতুন মুখকে। রাজন্যা হালদার। পরবর্তীতে একাধিকবার তৃণমূলের হয়ে সরব হয়েছেন এই যুবনেত্রী। কিন্তু তাঁকেই সাসপেন্ড করে তৃণমূল। আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি আগমনী মুক্তি পাওয়ার আগেই, তাঁকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল কংগ্রেস। সাসপেন্ড করা হয়েছে ছবির পরিচালক প্রান্তিক চক্রবর্তীকেও।
কিন্তু এরপর রাজন্যা জানিয়েছিলেন, নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেই নির্ধারিত দিনে ছবির মুক্তি হবে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কাজের বেশ কিছু নতুন নতুন ছবিও পোস্ট করেন যুবনেত্রী। ক্যাপশনে লেখেন, 'আগমনী তিলোত্তমাদের গল্প দেখবেন, ভাববেন, সমালোচনা করবেন, মাথা পেতে নেব।'
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং রাজন্যা হালদার দু তরফ থেকেই এই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে রাজনৈতিক মহল। অপেক্ষা করে রয়েছে দেবীপক্ষে আরজি করের প্রেক্ষাপটে তৈরি আগমনীর ভবিষ্যৎ নিয়েও। কারণ, মুক্তির আগে এই ছবির উপর বিষাদের বাজনা বাজিয়ে দিয়েছে স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেস-ই।
তবে এই ব্যাপারে রাজন্যা হালদারের স্পষ্ট বক্তব্য, "দলের অনুমতি নেওয়ার মতো বিষয় ছিল না!" বরং উল্টে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন দলের বেশ কিছু কার্য-কারণে। তাঁর প্রশ্ন, "কুণাল ঘোষ যখন গান লেখেন, দেব যখন সিনেমা করেন, তখন দলের অনুমতি নেন?"