অবশেষে ইডি দফতর থেকে বেরোলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ । শুক্রবার সকাল ১১টা ২১ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন সায়নী । রাত প্রায় পৌনে ১১টা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরোলেন তিনি । প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে সায়নী বললেন, বেশ কিছু নথি নিয়ে তাঁকে এদিন ডাকা হয়েছিল । ১০০ শতাংশ সাহায্য করেছেন তদন্তে । আগামী দিনেও তিনি সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন । সায়নী আরও জানান, তাঁকে আবারও একদিন ডাকা হবে । উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন তলব করা হয় তাঁকে । কুন্তল ঘোষের বয়ান-সহ একাধিক মামলায় সায়নী ঘোষের নাম উঠে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার সেই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ।
এদিন, সায়নী ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বলেন, "আজ কিছু বেসিক ডকুমেন্ট নিয়ে ডেকেছিলেন । এর মধ্যে আবার তলব করবেন । কিছু ডকুমেন্টের ডিটেইল আনতে হবে । আমি ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করেছি । আমি আশা করছি তাঁরা সন্তুষ্ট । আজ আমি এখানে ১১ ঘণ্টা ছিলাম, তদন্তের স্বার্থে যদি আমাকে ২৪ ঘণ্টা থাকতে হয়, আমি তাও থাকব ।"
মঙ্গলবার ইডির নোটিস পাওয়ার পর থেকেই কার্যত 'বেপাত্তা' ছিলেন সায়নী । দক্ষিণ কলকাতার বিক্রমগড়ের বাড়িতেও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। দলের অনেকেই নাকি তাঁর সঙ্গে যোগযোগ করতে পারছিলেন না । এদিকে, কুণাল ঘোষ দাবি করেন, উল্টোরথে উপোস করে দুর্বল হয়ে পড়েছে সায়নী । সেক্ষেত্রে তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন কি না, সেই বিষয়ে জোর চর্চা চলছিল । যদিও এদিন তলবে সাড়া দিয়ে সকাল ১১টা ২১ মিনিটে কলকাতায় ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি । সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সায়নী বলেন,"আমি প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে ইডি ডেকেছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়েছি। আমি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব।"
এদিকে, সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বিশ্বস্ত সূত্রে তিনি শুনেছেন সায়নী ঘোষ তদন্তে সহযোগিতা করছেন না । সেই মন্তব্য নিয়েও জোর চর্চা চলে নানা মহলে । তৃণমূল প্রশ্ন তোলে, কীভাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভিতরের খবর জানতে পারেন ?