বাড়ির বাইরে সিবিআই, বুঝতেই পারেননি। শৌচালয়ে ছিলেন, তাই দরজা খুলতে দেরি হয়েছে, জানালেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডঃ সন্দীপ ঘোষ। অজুহাত সত্যি কিনা, খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষকে লাগাতার তলব করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। রবিবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআইয়ের একটি দল। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ডাকাডাকি করা হয়, সন্দীপ ঘোষকে ফোন করা হয়, তার পরেও কেউ দরজা খোলেনি। বাড়ির বাইরে স্থানীয়দের ভিড় জমতে শুরু করে। সওয়া এক ঘণ্টা পর বাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন সন্দীপ। সকাল ৮টা ৬ মিনিট নাগাদ ভিতরে ঢোকেন সিবিআই কর্তারা।
সূত্রের খবর,৭৫ মিনিট ধরে নাকি শৌচাগারেই ছিলেন! ফলে ডাকাডাকি কিংবা ফোন— কিছুই শুনতে পাননি, এমন দাবি করেছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
সন্দীপের বেলাঘাটার চারতলা বাড়িটি সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মোড়া বলেই খবর , বাড়ির ভিতরে নাকি রয়েছে লিফ্টও! রবিবার ১৩ ঘণ্টা তল্লাশির পর পর রাত ৮টা ৪৬ মিনিটে সেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছে সিবিআই। বাড়ি থেকে তদন্তে সহায়ক একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা ছাড়াও আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার জোড়া আতশকাচের নীচে রয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ। ইতিমধ্যেই সন্দীপ-সহ মোট সাত জনের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করিয়েছে সিবিআই। এছাড়া আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা সামনে আসার পর থেকে আলোচনায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর মেয়াদকালে আরজি কর হাসপাতাল থেকে রাতারাতি উধাও ১৮৬টি শয্যা! কীভাবে শয্যাগুলি ‘ভ্যানিশ’ হল, তার কোনও উত্তর নেই এখনও। তবে এই ভুল ইচ্ছাকৃত কিনা, বং বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য-দুর্নীতির সঙ্গে এর যোগ রয়েছে কিনা, তা-ও স্পষ্ট নয়।