স্ত্রী-র হাত কেটে নেওয়ায় অভিযুক্ত স্বামীর পক্ষে আদালতে সওয়াল করলেন তাঁর আইনজীবী। দাবি করলেন, তাঁর মক্কেল স্ত্রীকে খুবই ভালোবাসেন। তিনি হাত কাটতেই পারেন না।
বর্ধমানের দাম্পত্য হিংসার (ketugram domestic violence incident) এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপাতত উত্তাল গোটা রাজ্য। সরকারি চাকরি করতে চাওয়ায় স্ত্রী রেণু খাতুনের (Renu Khatun) হাত কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শের মহম্মদ (Sher Mohammad) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভয়াবহ এই ঘটনা নিয়ে আদালতে নতুন দাবি করলেন তাঁর আইনজীবী। শের মহম্মদের আইনজীবী অভিযুক্তকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তবে অভিযুক্ত শের মহম্মদকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোরই নির্দেশ দেন বিচারক।
বুধবার কাটোয়া আদালতে অভিযুক্ত শের মহম্মদ কোনও আইনজীবী দিতে পারেননি। তাই ‘লিগাল এড’-এর পক্ষ থেকে শ্রেয়া দাস নামে এক আইনজীবী শের মহম্মদের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন। বিচারকের কাছে তাঁর দাবি, শের মহম্মদকে ফাঁসানো হয়েছে। কারণ তিনি স্ত্রীকে খুবই ভালবাসতেন। তাঁর পক্ষে স্ত্রীর হাত কাটা অসম্ভব। বিচারক এরপর শের মহম্মদকে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত শের মহম্মদের বাবা শেখ সিরাজ এবং মা মেহেরনিকা বিবিকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অভিযোগ, শের মহম্মদ টিনের পাত কাটার কাজে ব্যবহৃত কাঁচি দিয়ে স্ত্রী রেণু খাতুনের ডান হাতের কব্জি থেকে কেটে নেন। কিন্তু এ-কাজ করতে তাঁকে আরও দু'জন সাহায্য করেছিলেন। তাঁদের খুঁজছে পুলিশ।