কথায় বলে ভক্তিতেই পুজোর অর্ধেক সম্পন্ন হয়ে যায়। নিষ্ঠা থাকলে আলাদা করে আর কিছুরই দরকার হয় না। এমনই এক উদাহরণ ডক্টর সিদ্ধার্থকুমার বসাকের দুর্গা পুজো। এবছর তাঁর পুজো ৩৭ বছরে পা দিল। নিজে ব্রাহ্মণ না হয়েও নিজের হাতে প্রতিমা গড়ে এই পুজো করেন সিদ্ধার্থ বাবু। শৈশবে খেলার ছলে একটি প্রতিমা তৈরি করে রাস্তার ভবঘুরেদের নিয়েই পুজো সারেন। সেই থেকেই শুরু।
তাঁর দুর্গা পুজোয় জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের অবাধ প্রবেশ। বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগর রাজ বান্দে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই পুজো করেন তিনি। সমাজের কিছু কুসংস্কার রীতি বদলাতেই এই পুজো শুরু করেন তিনি।
তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্য জাতির ছাত্র ছাত্রীদের দিয়েই তিনি পুজোর জোগাড় করেন। শেখ কামরুজ্জোহান , রাকেশ খণ্ডারি ,শেখ হুমায়ুন কোভিদ এরা সকলেই পূজোর সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে পুজো করে চলেছেন। অদিতি দে'র কথায়, এমন শিক্ষক থাকলে সমাজে খুব বেশি দিন জাতপাত, ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকবে না। যেন এই চিত্র প্রকৃতই বলে দেয় ধর্ম যার যার, উৎসব সবার