আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানের (Anish Khan Death) মৃত্যুতে চবী তদন্তের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে পরিবারের তরফে।
আনিসের দাদা সাবির খান জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের দিদির উপরে আস্থা রয়েছে। কিন্তু, পুলিশের উপরে আস্থা নেই। দিদি যদি সিট গঠন করে তদন্ত করতে চাইছেন, তা করুক তাতে আমাদের কোনই আপত্তি নেই। কিন্তু সিবিআই তদন্ত আমরা চাইছি। সিটে যারা থাকছেন তাঁরা সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা রেখে তদন্ত করুক।’
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে ইতিমধ্যে তিন সদস্যের সিট (SIT) গঠন করেছে রাজ্য। মুখ্যসচিব ও ডিজির নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে বলে নবান্নে ঘোষণা করলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকার নিরপেক্ষ তদন্ত করবে। আমি কথা বলেছি। ডিজির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা ফরেনসিক রিপোর্টের ব্যবস্থা করেছে। ঘটনাটা দুর্ভাগ্যজনক। কোনও মৃত্যুই আমাদের কাছে কাম্য নয়।”
আনিস মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড়। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, “একটা কম বয়সের ছেলে, প্রতিবাদী ছেলে, ছাত্রনেতা খুন হয়েছে। এটা রাষ্ট্রীয় খুন। এনকাউন্টার নাকি পুলিশের পোশাকে তৃণমূলের গুণ্ডারা খুন? ।”
ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় পরোক্ষে শাসকদলের দিকে আঙুল তুলে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “আগে বিরোধী কর্মীদের খুন করা হত, আজ তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি হচ্ছে। এতদিন CAA-এর বিরোধিতা ওনার (আনিস খান) নেতৃত্বে হয়েছে, তৃণমূল ওনার সঙ্গেই ছিল। পশ্চিমবাংলায় রাজনীতিতে এটা নতুন কিছু নয়। অনেকে না জেনে সন্দেহ করে RSS-এর বদনাম করছে।”