মায়ের কাতর কণ্ঠ, ‘ছেলেটা মরে গেলে খোঁজ ও পেতাম না’। করমণ্ডলে চেপে চেন্নাইয়ে কাজে যাচ্ছিলেন রানাঘাট হবিবপুর দোয়ার পাড়ার সুখেন রায়। সাক্ষাৎ মৃত্য়ুদ্বার থেকে ফিরলেন যেন তিনি। সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন। বিকেল ৬.৩০টা, জানলার ধরে বসেছিলেন সুখেন। হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বগি। লাইনে আগুন লেগে যায়। উল্টে পড়ে যাত্রীরা, তিনি নিজেও। কোনওক্রমে বের হয়ে আসেন সুখেন বাবু , সঙ্গে আরও কিছু যাত্রীদেরও বের করে আনেন। বাইরে তখন রণক্ষেত্র, চিৎকার হাহাকার, মৃত্যুর কোলাহল। সেসবের ধার ঘেঁষেই ঘরের ছেলে ফিরে আসে ঘরে। পরিবারের সকলেও ছেলেকে ফিরে পেয়ে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ওড়িশার করমন্ডল এক্সপ্রেসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Coromondal Express Accident)। রাজ্যের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ (Compensation) দেওয়া হবে। আহতদের ১ লক্ষ, জখমদের ৫০ হাজার টাকা দেবে রাজ্য। ওড়িশায় রেলমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েই ঘোষণা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। রাজ্যের আহতদের কলকাতা ফিরিয়ে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করবে রাজ্য।