কালবৈশাখীর (Thunder Storm) ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিন কালবৈশাখীর পূর্বাভাস আছে। তাই তাপমাত্রা (Temperature) অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টানা ৪৫ দিন গরমের ছুটি বাতিল করে সরকারের কাছে অন্তত কয়েকদিনের জন্য স্কুল খোলার (School Reopen) আবেদন স্কুল শিক্ষকদের একাংশের।
তীব্র গরমে এর আগেও লম্বা ছুটি দেওয়ার ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু তারপর কালবৈশাখী হওয়ায় তাপমাত্রা কমে গিয়েছে। কিন্তু গরমের ছুটি কমানো হয়নি। তাই শিক্ষকদের একাংশ চাইছে, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। শিক্ষাবর্ষ দেরি করে শুরু হয়েছে। ফলে পড়ুয়ারা পড়াশোনায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে। তাই এতটা লম্বা ছুটি দিলে আরও অনেকটা পিছিয়ে পড়বে বলে দাবি শিক্ষকদের একাংশের।
আরও পড়ুন: লোকালয়ে তাণ্ডব মত্ত হাতির, সতর্ক করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন ১ বনকর্মী
শিক্ষকমহলের একাংশের দাবি, কোভিডের জন্য দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। এবার এত লম্বা ছুটি চাইছেন না অভিভাবকরাও। শিক্ষকদের মতে, প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়ণ হওয়ার পর এই ছুটি দিলে পড়ুয়ারা তৈরি হতে পারত। শিক্ষকমহলের অভিযোগ, এই লম্বা ছুটির ফলে অভিভাবক ও পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। যা পড়ুয়াদের পরীক্ষায় প্রভাব ফেলবে। কোভিড সংক্রমণ রাজ্যজুড়েই নিম্নমুখী। এই পরিস্থিতিতে স্কুল খুললে আখেরে লাভ হবে শিক্ষক-পড়ুয়া উভয়েরই।
শিক্ষকমহলের দাবি, আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে গরমের ছুটি কমানো হোক। প্রয়োজনে মর্নিং স্কুল চালু করার সিদ্ধান্ত নিক রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এভাবে স্কুল বন্ধ রাখলে রাজ্যের পড়ুয়ারা অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে। কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গের স্কুলগুলির অভিযোগ ছিল, সেখানে গরমের প্রকোপ নেই। বরং দফায় দফায় ঝড়বৃষ্টি চলছে। তবে সেখানে কেন রাজ্যের নির্দেশে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হবে।