বহরমপুর কাণ্ডে (Berhampore Case) সুশান্ত চৌধুরীকে (Sushant Chowdhury) জেরা করে উঠে এলে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর বান্ধবীই ছিল সুশান্তের প্রধান 'সোর্স'। পুলিশ সূত্রে খবর, সুশান্ত জেরায় জানিয়েছে, ওই বান্ধবীর মাধ্যমেই কয়েকশো কিলোমিটার দূরে থেকেও সে নজরদারি চালাত।
এদিকে বুধবারই সুশান্ত চৌধুরীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট (Finger Print Expert) নিতে বহরমপুরে পৌঁছয় সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ দল। সোমবার রাতে কলেজ ছাত্রী সুতপাকে খুনের সময় একটি ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সেই অস্ত্রের সঙ্গে সুশান্তের হাতের ছাপ মিলিয়ে দেখবেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতির জের, রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, ধ্বস নামল শেয়ার বাজারে
মালদহের ইংরেজবাজারে বাড়ি সুশান্তের। কখনও পটনার বাড়িতেও থাকত সে। কিন্তু সবার নজর এড়িয়ে লাগাতার সুতপার ওপর নজরদারি চালিয়ে যেত সুশান্ত। খুনের আগের দিন পর্যন্ত এক বান্ধবীকেই সোর্স হিসেবে ব্যবহার করত সুশান্ত। তদন্তকারীদের দাবি, পুলিশি জেরায় সে জানিয়েছে সপ্তাহখানেক আগে সেই 'সোর্স' সুশান্তকে খবর দেয়, সুতপা তাঁর নতুন প্রেমিকের সঙ্গে কয়েকবার শপিংয়ে গিয়েছেন। সিনেমাও দেখতে গিয়েছিলেন তারা। তদন্তকারীদের দাবি, এসব ঘটনা স্বীকার করার সময়, তাঁর শরীরী ভাষায় সুতপা সম্পর্কে ঘৃণা ও প্রতিহিংসা ফুটে উঠতে দেখা যায়। বহরমপুর থেকে ওই খবর পেয়ে সহ্যের বাঁধ ভেঙে যায় সুশান্তের। বারবার সে পুলিশ কর্তাদের সুতপার মৃত্যু নিশ্চিত করে।