মালদহ পৌছে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব ফেরালো বহরমপুর ছাত্রী খুনে(Berhampore Student Murder) মূল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। তাকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার কথা বলেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সে প্রস্তাব খারিজ করে দেয় সুশান্ত(Sushanta Chowdhury)। সুশান্ত জানায়, তার কেউ নেই। কারও সঙ্গে সে কথা বলতে চায় না। তদন্তকারীদের কাজ হয়ে গেলে যেন তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগেও জেলে মা-বাবাকে আসতে বারণ করেছিল সে। এমনকি বাবার পাঠানো আইনজীবিকেও প্রথমে প্রত্যাখ্যান করে সুশান্ত।
বহরমপুরের তদন্ত(Berhampore Murder Update) আপাতত শেষ। তাই, দেরি না করেই আদালত থেকে বেরিয়ে সুশান্তকে নিয়ে মালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ মালদহের ইংরেজবাজারে পৌঁছন তদন্তকারীরা। প্রথমে যাওয়া হয় সেই বাজারে, যেখান থেকে সুশান্ত খেলনা বন্দুক ও ছুরি কিনেছিল। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কোন দোকান থেকে সে বন্দুক কিনেছিল। সুশান্তও নাকি সময় না নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দেখিয়ে দেয় ওই দোকান। এরপর ওই দোকান মালিককে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে পুলিশ। শেষে তদন্তকারী দল রওনা দেয় সুতপার(Sutapa Chowdhury Murder Case) বাড়ির উদ্দেশ্যে। কথা হয় সুশান্তর বাবার সঙ্গেও।
এরপর সুশান্তকে নিয়ে যাওয়া হয় তার পিসির বাড়ি, যে বাড়ির ঠিক মুখোমুখি বাড়ি মৃত সুতপার। যদিও প্রথম থেকেই সুশান্তের পিসির দাবি, সুতপার কাছে প্রতারিত হয়েছে তাদের ছেলে। তবে ওই বাড়িতে গিয়ে কারও দেখা পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীরা দেখেন, বাড়ির দরজায় একটা বড় তালা ঝুলছে। অনেক ডাকাডাকি করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।