পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার ঘটনার পর রাজ্য প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি ছিল বাজিমুক্ত করা হবে রাজ্যকে। তার জন্য দিন কয়েক বেশ ঘটা করেই চলেছিল ধরপাকড়। সরকারি হিসাবে দাবি করা হয়েছিল, সবচেয়ে বেশি বাজি উদ্ধার করা হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা থেকে। কিন্তু রবিবার দত্তপুকুরের ঘটনা ফের সেই হিসাবকে উসকে দিল।
প্রশ্ন হল, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে যদি সবচেয়ে বেশি বাজি উদ্ধার হল, তাহলে দত্তপুকুরের সামসুল আলি কী ভাবে চোখ এড়িয়ে গেল। কারণ, স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন প্রশাসনের নাকের ডগাতেই বাজি কারখানা চালাতেন সামসুল। এদিনের ঘটনার পর সেই বাড়ি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন : দত্তপুকুর বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মত কমপক্ষে ৭, প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলাকাবাসীর
সম্প্রতি দুর্গাপুজোর বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বেআইনি বাজি তৈরি করা যাবে না। বরং সরকার সবুজ বাজি তৈরির করার ব্যাপারে সাহায্য করবে। সপ্তাহ ঘুরল না, তার মধ্যেই রবিবার দত্তপুকুরের এই ঘটনা। বারাসতের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ঘটনায় সরকারি ভাবে চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
তবে, এখন প্রশ্ন হল সামসুল কোথায় ? কারণ, এগরার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগকে ধরতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল প্রশাসনকে। দত্তপুকুরের ক্ষেত্রে এমনটা হবে না তো ? ঘটনার পর প্রশ্ন এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের।