এবার পীরজাদাকে খুনের হুমকির অভিযোগ সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে (Bhangar Trinamool leader and Canning East MLA Shaukat Mollah) জাঙ্গিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের পীরজাদা সাফেরি সিদ্দিকীর। তাঁর অভিযোগ, রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ শওকত মোল্লা হোয়াটসঅ্যাপ কলে খুনের হুমকি দেন। তাঁর কথায়, সওকত জানান, ভাঙড়, ক্যানিং, দুই ২৪ পরগনার কোনও এলাকায় পীরজাদাকে দেখা গেলে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় একাধিক নম্বর থেকে তাঁকে খুনের হুমকি দিয়ে ফোন করা হয় বলেও অভিযোগ ওই পীরজাদার।
ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন ওই পীরজাদা। কিছুদিন আগেই দলের তরফে ভাঙড়ের দায়িত্ব পেয়েছেন সওকত। এরপর আরাবুল-কাইজার-সওকতকে নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিধানসভার হিসেব বলছে, এই মুহূর্তে ভাঙড়ে পঞ্চায়েত দখলের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে আইএসএফ। কারণ সেখানে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলেই স্পষ্ট, ভাঙড়ের মোট ১৩টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ভোটের নিরিখে ১১টিতেই এগিয়ে আইএসএফ। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পঞ্চায়েতের আগে তাই জোরকদমে ভাঙড়ে দলের হাল ফেরাতে তৃণমূলের ভরসা সেই সওকত মোল্লা।
উল্লেখ্য, ফুরফুরা শরীফে সওকত মোল্লা যাওয়ার পর তাঁকে ঘিরে 'চোর, চোর' স্লোগান দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আইএসএফ বিধায়ক তথা পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকীর মদতেই এই ঘটনা ঘটে বলেও অভিযোগ করেছিলেন সওকত।