নিম্নচাপের জেরে এমনিতেই সমুদ্র উত্তাল। মৎস্যজীবীদের জন্যেও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কিন্তু তার মাঝেই নামখানায় শুক্রবার ঘটে গেল অঘটন। ১৮ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে গিয়েছে ট্রলার। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় ১৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি বাকি পাঁচ জনের।
এদিন উদ্ধারের পর মৎস্যজীবীরা জানান, সমুদ্রের নোনা জলে ৪ ঘণ্টা ভেসে ছিলেন তাঁরা। উথাল পাথাল ঢেউয়ে চলেছে বেঁচে থাকার রুদ্ধশ্বাস লড়াই। কোনওরকমে জলের মধ্যে শরীর ভাসিয়ে রাখতে পেরেছিলেন। কাকদ্বীপে নিয়ে আসা হয়েছে ওই মৎস্যজীবীদের।
উদ্ধার মৎস্যজীবীদের নাম শ্যামল দাস, শিপন দাস, দিলীপ দাস, লক্ষ্মীপদ দাস, দীপেশ দাস, সুরজিৎ দাস, বিশ্বরঞ্জন গিরি, প্রলয় দাস, রাজকুমার দাস, দীপঙ্কর দাস, মিলন দাস, বাদল দাস ও বিপ্লব দাস। এফ বি সত্যনারায়ণ নামের ট্রলারটি মাছ ধরতে সমুদ্রে গিয়েছিল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তাদের ফিরে আসতে হয়। কিন্তু ফেরার পথেই বিপদ ঘটে।
সকলকে নিয়ে সাগরের মাঝে উল্টে যায় ট্রলারটি। কাছাকাছি থাকা একটি বাংলাদেশি ট্রলার সমুদ্রে ভাসতে থাকা মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে। ১৩ জনের নাগাল পেয়েছে তারা, বাকি পাঁচজনকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের খোঁজ চলছে।