বিধানসভার বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই ভোটাভুটিতে পাস হয়ে হয়ে গেল আচার্য বিল(Chancellor bill)। এবার থেকে আর রাজ্যপাল নন, রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী(CM Mamata Banerjee)। যদিও বিল কার্যকরী করার জন্য রাজ্যপালের আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর প্রয়োজন।
আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। এজন্য সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করতে বিল পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(State Education Minister Bratya Basu)। ভোটাভুটিতে সেই বিল পাসও হয়ে যায়। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১৮২, আর বিপক্ষে ৪০। এরপর শুধু রাজ্যপালের সইয়ের অপেক্ষা, তাহলেই আইনে পরিণত হবে এই বিল।
আরও পড়ুন- CBI investigation on TET: প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতি, নিজাম প্যালেসে হাজিরা মানিক ও রত্নার
আচার্য নিয়োগ বিল অর্থাৎ, ‘দি ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ’ল (সংশোধনী) বিল, ২০২২’ নিয়ে সোমবার বিধানসভায় ভোটাভুটির দাবি জানিয়েছিল বিজেপি(BJP West Bengal) পরিষদীয় দল। বিজেপির তরফে ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ উঠলেও তা উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ(TMC MLA Nirmal Ghosh) বলেন, ‘‘আমাদের ১৮২ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। সকলেই ভোট দিয়েছেন।’’
আচার্য বিল নিয়ে বিজেপি আদালতে যাবে বলেও জানান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। বাজেট অধিবেশনেই শুভেন্দু-সহ সাত বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করায় তাঁরা বাদল অধিবেশনে অংশ নিতে পারেননি। তবে তাঁদের বিধানসভা চত্বরে প্রবেশাধিকার রয়েছে। সোমবার বিধানসভা চত্বর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী কোনওদিনই আচার্য হতে পারবেন না। বিল পাশ হলেও তা রাজ্যপাল পাঠিয়ে দেবেন দিল্লিতে। সেখানেই তা পড়ে থাকবে দিনের পর দিন। এই প্রসঙ্গেই সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, বিজেপি বিধায়করাই(BJP MLAs) বলে দিলেন রাজ্যপাল কী কী করতে পারেন, কী কী করবেন। বিজেপি বিধায়করাই রাজ্যপালকে কী করতে হবে, তার নির্দেশ দিয়ে দিচ্ছেন। যদিও বিজেপি শাসিত গুজরাতে এই বিল পাশ হয়েছিল।