নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে ১৫ দিনের মধ্যে জমি খালি করার নির্দেশ দিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অন্যথায় বলপ্রয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ভবনে এই বিষয়ে শুনানি ছিল। কিন্তু সেখানে অমর্ত্য সেন বা তাঁর আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন না। তাঁদের অনুপস্থিতিতেই কড়া সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী।
West Bengal Weather Update: সপ্তাহান্তে হাওয়া বদল! স্বস্তির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর
অমর্ত্য সেনকে পাঠানো চিঠিতে বিশ্বভারতী জানিয়েছে, অনুমোদিত দখলদার উচ্ছেদ আইন ১৯৭১ ধারা ৫-এর উপধারা ১-এর অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিতর্কিত ১৩ ডেসিমেল জমি ফেরানো হবে। এই বিষয়ে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৬ই মে-র মধ্যে বিশ্বভারতীর প্লট নম্বর ২০১ উত্তর-পশ্চিম কোণে অর্থাৎ এল আর প্লট নাম্বার ১৯০০/২৪৮৭ সুরুল মৌজার ১৯০০ জেএল নম্বর ১০৪ পাবলিক সম্পত্তির উপর অনুমোদিত দখল জমি খালি করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কর্মসচিব ও এস্টেট অফিসার। বলা হয়েছে, ওই সময়সীমার মধ্যে জমি খালি করা না হলে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করা হবে।
বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্ট্রার এবং এস্টেট অফিসারকে চিঠি দিয়ে অমর্ত্য সেন জানিয়েছিলেন, পারিবারিক ভিটে উত্তরাধিকার সূত্রে তাঁর প্রাপ্য। শান্তিনিকেতনের 'প্রতীচী' বাড়ি ১৯৩৪ সাল থেকেই তাঁর পরিবার ব্যবহার করে আসছে। জমি ইজারার মেয়াদ শেষের আগে কেউই তা ব্যবহার করতে পারেন না।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, দখলদার উচ্ছেদ আইন ১৯৭১ সালের ১০ ধারায় বলা হয়েছে, যিনি ইজারাদাতা, তিনিই জমির মালিক। তিনি জমির হস্তান্তর, উত্তরাধিকারী উইল করতে পারবেন না। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র বিশ্বভারতীর আজীবন সদস্যদের। অমর্ত্য বিশ্বভারতীর আজীবন সদস্য নন, ফলে ইজারাদাতা হিসেবে স্বীকৃত নন। অমর্ত্য বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন বলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ।