RG কর কাণ্ডে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। এমনকি এই পরিস্থিতির আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। দিল্লিতেও বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছিল। দাবি ছিল অপরাধীর শাস্তি চাই। ইতিমধ্যে সঞ্জয় রায় নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খুঁজতে তদন্তভার হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। একাধিক জুনিয়ার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি RG কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও একাধিকবার তলব করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে সত্য উদঘাটনে ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফি টেস্ট করার অনুমতি মিলেছে।
কিন্তু পলিগ্রাফি টেস্ট কী? এর মাধ্যমে কীভাবে সত্য উদঘাটন করা সম্ভব? এই প্রতিবেদনে জেনে নিন বিস্তারিত...
পলিগ্রাফি টেস্ট কী?
এটি একটি শারীরিক পরীক্ষা। যেখানে বেশ কিছু সেন্সর ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন সাইকোলজিক্যল রেসপন্স ধরা পড়ে। অ্যামেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও অপরাধী মিথ্যা বলছেন কিনা তা জানার জন্য পলিগ্রাফি টেস্ট করা হয়।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে কী কী জানা সম্ভব?
পলিগ্রাফি টেস্টের রিপোর্টে কখনই উল্লেখ থাকে না কোন বক্তব্য সত্য আর কোন বক্তব্য মিথ্যা। তবে কোনও ব্যক্তি মিথ্যা বলার সময় মনস্তাত্বিক এবং শারীরিক যে পরিবর্তন হয় তা ধরা পড়ে পলিগ্রাফি রিপোর্টে।
কীভাবে পরীক্ষা করা হয়?
যে ব্যক্তির পরীক্ষা করা হবে সেই ব্যক্তির শরীরের সঙ্গে একাধিক সেন্সর যুক্ত করা হয়। ওই সেন্সরগুলি হার্ট রেট, শ্বাসপ্রশ্বাস, ব্লাড প্রেসার, পালস রেট সহ একাধিক প্যারামিটার মনিটর করে।
কীভাবে রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব?
কোনও ব্যক্তিকে সেন্সর পরিয়ে একটি নির্দিষ্ট ঘরে বসানো হয়। তারপর তাঁকে একের পর এক প্রশ্ন করা হয়। সেই ব্যক্তির দেওয়া উত্তর সব সত্যি হলে যাবতীয় প্যারামিটার স্বাভাবিক থাকে। তবে যখনই ওই ব্যক্তি মিথ্যা জবাব দেবে তখনই যাবতীয় প্যারামিটার অস্বাভাবিক হতে শুরু করবে। এবং তা ধরা পড়বে রিপোর্টে।
RG কর কাণ্ডে কীভাবে পলিগ্রাফি টেস্ট সহায়তা করবে?
সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে ম্যারাথন জেরা করছেন তদন্তকারীরা। তবে গোয়েন্দাদের আশঙ্কা অভিযুক্ত বেশ কিছু ভুল তথ্য দিচ্ছেন। পলিগ্রাফি টেস্ট করলেই বোঝা যাবে অভিযুক্ত যে জবাব দিচ্ছে তা সত্যিই আসল নাকি তদন্তকারীদের ভুল পথে পরিচালিত করতে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। তদন্তকারীরা মনে করছেন এই টেস্টের পরেই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে।